ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

‘ডব্লিউটিএফ’ আছড়ে পড়বে পৃথিবীতে!

বাংলানিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৫
‘ডব্লিউটিএফ’ আছড়ে পড়বে পৃথিবীতে!

ঢাকা: পৃথিবীর জন্য নানা বিপদ অপেক্ষা করছে পৃথিবীর সীমানার বাইরে। এসবের মধ্যে আছে মহাকাশ থেকে কক্ষচ্যুত গ্রহাণু বা উল্কাপিণ্ড।

অতীতে এরকম বহু গ্রহাণু ও উল্কাপিণ্ড বহুবার আঘাত হেনেছে পৃথিবীতে। এসবের কারণে বড় ধরনের কিছু বিপর্যয়ও ঘটেছে। অনেক বিজ্ঞানী ডাইনোসরের বিলুপ্তির জন্য অতিকায় উল্কার আঘাতকে দায়ী করে থাকেন। এমন বিপর্যয় যে ভবিষ্যতে আরো হবে না এমন নয়।

উল্কাপিণ্ড বা গ্রহাণুর আঘাত থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে রাশিয়া-আমেরিকার বিজ্ঞানীরা এগুলোকে পৃথিবীতে আসার আগেই ধ্বংস করে দেবার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন। কিন্তু এসবের বাইরেও মহাকাশের নানা জঞ্জালও পৃথিবীর জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। এমনই একটি মহাকাশ জঞ্জাল আছড়ে পড়তে যাচ্ছে পৃথিবীতে। তবে এটির পরিচয় শনাক্ত করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। তবে আপাতত তারা এর নাম রেখেছেন ডব্লিউটিএফ (‘WTF’)। আগামী এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এটি পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে বলে আশঙ্কা। পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা অজ্ঞাত উড়ন্ত এই বস্তুটি আসলে কি সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে না পারলেও ওটা যে পৃথিবীর দিকেই ধাবমান সে ব্যাপারে কোনো সংশয় নেই বিজ্ঞানীদের মনে।

Nature News জানিয়েছে, বিজ্ঞানীদের ধারণা, এটি আসলে হয়তো মানবসৃষ্ট এক জঞ্জাল। এটি আকারে খুবই ছোট; মাত্র দু’মিটার প্রশস্ত বলেই তারা একে মানবসৃষ্ট বলছেন। এটির ভেতরটা ফাঁপা বলেই তাদের ধারণা।  

Nature News আরও জানাচ্ছে, মহাকাশে পাঠানো কোনো রকেটের ভগ্নাংশ হয়তো এটি। সম্ভবত স্যাটার্ন –ভি (Saturn V) রকেটের ভগ্নাংশ এটি। এই স্যাটার্ন-ভি রকেটই ছিল প্রথম রকেট যা চাঁদে প্রথম মানুষ পাঠিয়েছিল।

অজ্ঞাত এই উড়ন্ত বস্তুটি যদি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পরও জ্বলে-পুড়ে নি:শেষ না হয় তাহলে এটি আগামী ১৩ নভেম্বর আছড়ে পড়বে ভারত মহাসাগরে। শ্রীলংকা উপকূলের খুব কাছে।

অ্যাস্ট্রোনমি সফটওয়্যার ডেভেলপার বিল গ্রে অবশ্য পৃথিবীর দিকে ধাবমান অজ্ঞাত উড়ন্ত বস্তুটিকে নিয়ে রসিকতা করতে ছাড়েননি: ‘এটিকে ঠিক মাথার উপর রেখে আমি কিন্তু (সমুদ্রে) মাছ ধরতে যাবো না। ’

বাংলাদেশ সময়: ০১৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৫
জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।