ঢাকা: আন্তর্জাতিক গণ্যমাধ্যমের সমালোচনা করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, বিবিসি-সিএনএন রাবিশ। ওরা কী করেনি? ইরাককে ধ্বংস করে এখন বলছে সাদ্দাম হোসেনই ভালো ছিল।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এমআরডিআই) আয়োজিত ‘শিশু সংক্রান্ত বিষয়ে সাংবাদিকতার নীতিমালা শীর্ষক’ সেমিনারে সভাপতির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।
সেমিনারে আলোচনা করেন, সম্পাদক পরিষদের সভাপতি দৈনিক সমকাল সম্পাদক গোলাম সারোয়ার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, টাইমস ম্যাগাজিনের সম্পাদক ফরিদ হোসেন এবং এমআরডিআই’র নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান মুকুর।
ড. মিজানুর রহমান বলেন, সাংবাদিকতার নীতি নৈতিকতা বিবিসি, সিএনএন থেকে আমাদের শিখতে হবে না। আমাদের দেশের মাটি থেকে উদ্ধৃত নীতি নৈতিকতা দিয়ে নীতিমালা করতে হবে। আমাদের সমাজ, দেশের প্রেক্ষাপটে নীতিমালা হতে হবে।
গণমাধ্যমের সমালোচনা করে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান আরও বলেন, গণমাধ্যমের মালিক যদি ব্যক্তি পর্যায়ের কেউ হয়, তাহলে তো মালিকের কথাই শুনতে হবে। মালিকের স্বার্থ কোনটায় রক্ষা হবে, কোনটায় হবে না সেটা মেনেই করতে সংবাদ প্রচার ও প্রকাশ করতে হয়। সেজন্য কিছু কিছু জিনিস রাষ্ট্র মালিকানাধীন থাকা দরকার। যেমন বিটিভি থাকতে হয়, থাকতে হবে। সত্যকে প্রকাশ করার জন্য বিটিভিই একমাত্র মাধ্যম। তবে সারা বিশ্বে সুস্থ ধারার সাংবাদিকতার বাসা বেঁধেছে। বাংলাদেশে বর্তমানে সুস্থ ধারার সাংবাদিকতার সর্বত্তোম পর্যায়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, সবকিছুতেই রাজনীতি হচ্ছে। সৌরভকে গুলি করার পর সব গণমাধ্যমে প্রচার করা হলো আওয়ামী লীগের সাংসদ গুলি করেছে, এটা কি জরুরি ছিল। নাকি অপরাধীকে অপরাধীর পরিচয়ে প্রচার করার দরকার ছিল। যেভাবে প্রচার ও প্রকাশ করা হয়েছে তাতে মনে হয়েছে আওয়ামী লীগই গুলি করতে বলেছে। তাই প্রচারের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে কোনো দল নয়, অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই পরিচয় করতে হবে। এরমধ্যে একটি রাজনীতি নিহিত আছে বলে মনে হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের আশ্রয় হতে পারে না। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের প্রশ্রয় বাংলাদেশে হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৫
এসএম/এমজেএফ
** শিগগিরই সম্প্রচার আইন করা হবে