ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

হত্যাকারীদের ফাঁসি চান রাজনের বাবা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৫
হত্যাকারীদের ফাঁসি চান রাজনের বাবা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সিলেট: হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি করেছেন রাজনের বাবা আজিজুর রহমান আলম।

ছেলে হত্যার সঠিক বিচার পেতে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর আগে থেকেই আদালতমুখী ছিলেন রাজনের বাবা।

  আইনজীবী নিযুক্ত করা থেকে শুরু করে সব কিছুই তিনি নিজে করেছেন।

মঙ্গলবার(২৭ অক্টোবর) আদালতে হাজির হতে ব্যত্যয় ঘটেনি তার। এদিন সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বারান্দায় দিন কেটেছে তার।

রায়ের দিন ধার্য হওয়ার পর আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন আজিজুর রহমান আলম। অকপটে চোখের কোণে ছলছল করছিলো সন্তান হারানোর বিষাদের নোনা জল। বুক ফাঁটা আর্তনাদও করতে পারছিলেন না।

কান্না জড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, দেশবাসী দেখছে আমার সন্তানকে চোর সাজিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে ওরা। কিন্তু বিচারে তারা প্রমাণ করাতে পারেনি আমার ছেলে চোর ছিল। আমার ছেলেকে যারা এত কষ্ট দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, আমি তাদের সবার ফাঁসি দাবি করছি।

১ অক্টোবর থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ১৪ কার্য দিবসে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ, জেরা, আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা।

গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে সামিউল আলম রাজনকে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। রাজন সদর উপজেলার কান্দিরগাঁও ইউনিয়নের বাদেআলী গ্রামের আজিজুল ইসলাম আলমের ছেলে।

নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের পর মরদেহ গুম করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হন কামরুলের ভাই মুহিত আলম। নির্যাতনের ২৮ মিনিটের ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশে-বিদেশে নিন্দার ঝড় ওঠে। খুনিদের ফাঁসির দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠে জনতা।
হত্যাকাণ্ডের পর মহানগরীর জালালাবাদ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাদী হয়ে মুহিত আলমসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে গিয়ে হত্যাকারীদের সঙ্গে আর্থিক সমঝোতার অভিযোগে বরখাস্ত হন জালালাবাদ থানার ওসি (তদন্ত) আলমগীর হোসেন, এসআই জাকির হোসেন ও আমিনুল ইসলাম।

গত ১৬ আগস্ট সৌদি আরবে আটক কামরুল ইসলামসহ ১৩ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ হত্যা মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর সুরঞ্জিত তালুকদার। এর আগে মুহিত আলমসহ আটজন এ ঘটনায় হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

গত ২২ সেপ্টেম্বর একই আদালতের বিচারক চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায়  সৌদি আরবে আটক কামরুলসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় চার্জ গঠন করেন। ১ থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত ১০ কার্যদিবসে মোট ৩৬ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।   এরপর কামরুলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২১ অক্টোবর ১১ সাক্ষী ফের সাক্ষ্য দেন তার উপস্থিতিতে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৫
এনইউ/পিসি

** ফাঁসি চান রাষ্ট্রপক্ষ, খালাস প্রত্যাশী আসামিপক্ষ
** রাজন হত্যা মামলার রায় ৮ নভেম্বর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।