রাজশাহী: পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে ‘কাজ নেই, মজুরি নেই’ ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত ৭১ জন কর্মচারীর চাকরি স্থায়ীকরণের নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্ট। তবে পাঁচ মাস অতিবাহিত হতে চললেও এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়ন হয়নি।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজশাহী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন ভুক্তভোগীরা। এ সময় তারা অস্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাইদুল ইসলাম বলেন, তিনিসহ ৭০ জন বাংলাদেশ রেলওয়ে রাজশাহী বিভাগের (পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে) প্রকৌশল বিভাগে ওয়েম্যান, গেইটকিপার, চৌকিদার, খালাসি, ট্রাফিক বিভাগের গেইটকিপার পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে দৈনিক ৮০ টাকা মজুরিতে চাকরি করছেন।
বর্তমানে মজুরি দৈনিক ১৫০ টাকা। ইতোমধ্যে সরকার নির্দেশ দিয়েছে, যেসব পদে ‘কাজ নেই, মুজুরি নেই’ ভিত্তিতে সৃষ্টি হয়েছে, প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটি সেসব পদসমূহে নিয়োজিত ব্যক্তিদের আবশ্যকতা যাচাই করে দেখবেন। কিন্তু এখনও সচিব কমিটি গঠন করা হয়নি।
এদিকে, নতুন করে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য রেলওয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে অস্থায়ী কর্মচারী জুয়েল মিয়া রিট পিটিশন করেন। যার প্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ২১ জুন আদেশপ্রাপ্ত হয় এবং তাদের রাজস্ব খাতের শূন্য পদে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সাইদুল ইসলাম ও অপর ৭০ জন হাইকোর্টে রিট করেন (পিটিশন নং ২১৫৫/১৪) এবং ২০১৪ সালের ১৫ জুন আদেশ পান।
এর প্রেক্ষিতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে আপিল পিটিশন করেন। যার আপিল (নং-২৯৭৬/১৪) তবে সুপ্রিমকোর্ট তা খারিজ করে পূর্বের রায় বহাল রাখেন। কিন্তু এখনও রায়ের বাস্তবায়ন হয়নি। তাই কর্মচারীরা সংবাদ সম্মেলন থেকে রেলমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- শাহ আলম, হোসাইন রনি, আবু সাঈদ, মাহবুবুল আলম মানিক, নজরুল ইসলাম, রায়হান, রেজাইল করিম, আবু আনছারী, সোহেল রানা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৫
এসএস/এমজেএফ