ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ছাড়াও আরও কয়েকটি সরকারি সংস্থাকে মানিলন্ডারিং মামলা তদন্ত করার ক্ষমতা দিয়ে করা ‘মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধনী) অধ্যাদেশ ২০১৫’ এর কয়েকটি ধারা কেন বেআইনি ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
চলতি বছরের ১৭ অাগস্ট ‘মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন-২০১৫’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এছাড়া ৫ অক্টোবরের মন্ত্রিসভা অধ্যাদেশ জারির অনুমোদন দেয়।
ধারাগুলো হলো ২(খ)(ট)(অ) (আ), ৫, ৬, ৭(খ) ও ১১।
৪ সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, অর্থ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে গত ২৫ অক্টোবর মানবাধিকার কর্মী ইমতিয়াজ আহমেদ জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেন।
রিট আবেদনে বলা হয়, মানি লন্ডারিংয়ের ধারাগুলো দুর্নীতি দমন কমিশনের ২০১৪ এর ২ক, ৩(২), ৩(৩), ১৭(ঞ), ২০, ২৪ ও ৩২(১) ধারা সমূহের সাথে সাংঘর্ষিক। এর মাধ্যমে দুদকের ক্ষমতাকে খর্ব করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৫
ইএস/এমজেএফ