ঢাকা: দুই টাকার মুদ্রা বা ধাতব কয়েন এতোদিন সরকারি মুদ্রা হিসেবে প্রচলিত ছিল। কিন্তু এর ক্রয় ক্ষমতা দিন দিন হ্রাস পাওয়ায় সরকার পাঁচ টাকাকে সরকারি মুদ্রা ঘোষণা করার উদ্যোগ নিয়েছে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ কোয়েনেজ অর্ডার-১৯৭২ সংশোধন বিল উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। পরে বিলটি পরীক্ষাপূর্বক প্রতিবেদন আকারের জন্য ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে অর্থমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) অর্থমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বিলটি যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে চূড়ান্ত করেছে। যা আসছে অষ্টম অধিবেশনেই পাশ করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৯৭২ সালে দ্য বাংলাদেশ কোয়েনেজ অর্ডার দীর্ঘ ১৭ বছর পর ১৯৮৯ সালে সংশোধন করে ২ টাকাকে সরকারি মুদ্রা করা হয়। এর আগে সর্বোচ্চ এক টাকার মুদ্রা সরকারি মুদ্রা হিসেবে পরিচিত ছিল। ইতোমধ্যে ২৬ বছর অতিবাহিত হয়েছে। ২ টাকার ক্রয় ক্ষমতাও আগের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে। ফলে বর্তমানে আইনের অধিকতর সংশোধনের মাধ্যমে ৫ টাকার নোটকে সরকারি মুদ্রায় রূপান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে দেশের মোট অর্থের যোগান অপরিবর্তিত থাকবে। এ কারণে মূল্যস্ফীতিজনিত কোনো প্রভাব পড়বে না।
বিলে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭৪-৭৫ সালে বাজারে প্রচলিত মোট অর্থের মধ্যে সরকারি মুদ্রার পরিমাণ ছিল ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ। ২০১৩-১৪ অর্থবছর শেষে যা দশমিক নয় শুন্য শতাংশে নেমে আসে। ৫ টাকা মূল্যমানের নোট ও কয়েনগুলোকে সরকারি মুদ্রায় রূপান্তর করা হলে সরকারি মুদ্রার পরিমাণ বাজারে প্রচলিত মোট মুদ্রার ১ দশমিক পাঁচ শুন্য শতাংশে উন্নীত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৫
এসএম/আইএ