ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

নাশকতা মোকাবেলায় বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদার

শেখ জাহাঙ্গীর আলম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৫
নাশকতা মোকাবেলায় বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদার ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: কোন অশুভ গোষ্ঠী যেন বিমানবন্দর এলাকায় নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করছে শাহজালাল (রহ.) বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দর্শনার্থীদের প্রবেশ অনির্দিষ্টকালে জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বিমানবন্দর এলাকার প্রতিটি প্রবেশ পথসহ মোট ৩২ পয়েন্টে বসানো হয়েছে একাধিক চেকপোস্ট। বিমানবন্দরে প্রবেশের সময় সকল প্রকার যানবাহন ও যাত্রীদের তল্লাশি করা হচ্ছে। পাসর্পোট ও টিকিট ছাড়া কাউকে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানের জন্য রয়েছে ১৬০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা।  

বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আলমগীর হোসেন শিমুল বাংলানিউজকে বলেন, সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

বিমানবন্দর এলাকায় ৩২টি পয়েন্টে এপিবিএনএ’র চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কিছু পয়েন্টে এক টিমের একাধিক চেক পয়েন্টও রয়েছে। প্রতিটি চেক পয়েন্টে সার্বক্ষণিক তল্লাশি ও নজরদারি করা হচ্ছে। বিমানবন্দরে দর্শনার্থীদের প্রবেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে।
 
তিনি বলেন, এপিবিএন’র বিশেষায়িত ‘ক্রাইসিস রেসপন্স টিম’ (সিআরটি) বিমানবন্দবের ভেতরে-বাইরে বিশেষ নজরদারি করছে।

বিমানবন্দর এলাকায় ১৬০টি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। এর মধ্যে এপিবিএন’র তত্ত্বাবধানে ৬২টি সিসি ক্যামেরা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, বিমানবন্দর এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানের জন্য সব স্পটে থাকা সিসি ক্যামেরাগুলো পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। যে ক্যামেরাগুলো ত্রুটিপূর্ণ ছিলো সেগুলো মেরামত করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরো সিসি ক্যামেরা বাড়ানো হতে পারে বলেও জানান তিনি।

বিমানবন্দরের টার্মিনালের ৬টি প্রবেশ পথের ভেতরে ও বাইরে রয়েছে কড়া নজরদারি। যাত্রীদের তল্লাশি করা হচ্ছে।

এপিবিএন’র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নাসরিন আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, পাসপোর্ট ও বিমান টিকিট ছাড়া কাউকেই বিমানবন্দরের টার্মিনাল এলাকার ভেতরে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।

এদিকে বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নজরদারি বাড়িয়েছে ঢাকা কাস্টমস হাউজের কর্মকর্তারাও। বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের উপর বিশেষ নজরদারি করছে তারা।

ঢাকা কাস্টমস হাউজের সহকারী কমিশনার (এসি) (প্রিভেন্টিভ) মো. শাহীদুজ্জামান সরকার বাংলানিউজকে বলেন, বিমানবন্দরের ভেতরে কাস্টমস হাউজের প্রিভেন্টিভদের বিশেষ নজরদারি থাকছে।   বিমানবন্দরের ভেতরে থাকা ও বিদেশ থেকে আগত সকলকে ক্লোজ মনিটরিং করছি। সন্দেহ হলেই তাদের তল্লাশি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।   

তিনি বলেন, চোরাচালান রোধে এবং বিদেশিদের উপর নজরদারি বৃদ্ধির জন্য কাস্টমস হাউজের প্রিভেন্টিভ দলের সদস্যদের সমন্বয় একটি স্পেশাল টিম গঠন করা হয়েছে।

এই টিমের সদস্যরা বিভিন্ন দেশ থেকে আগত বিদেশি পর্যটকদেরও ক্লোজ মনিটরিং করছে বলে জানান তিনি।
 
উল্লেখ্য, গত ২৬ অক্টোবর (সোমবার) সকাল দশটা থেকে বিমানবন্দরের ভেতরে ও বাইরে দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৫
এসজেএ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।