ঢাকা: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে প্রথমবারের মতো সফলভাবে প্লেন (একক ও দ্বৈত) উড্ডয়ন পরিচালনা করলেন দু’জন নারী শিক্ষানবিশ পাইলট।
বুধবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকার তেজগাঁও আর্মি অ্যাভিয়েশন গ্রুপে ক্যাপ্টেন নাজিয়া নুসরাত হোসেন ও ক্যাপ্টেন শাহরিনা বিনতে আনোয়ার সেনা ১৫২ অ্যারোপেক প্রশিক্ষণ বিমানের মাধ্যমে একক ও দ্বৈত উড্ডয়ন পরিচালনা করেন বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ক্যাপ্টেন নাজিয়া নুসরাত হোসেন ২০০৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর ৬১তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরে কমিশন লাভ করেন। ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সব আবশ্যক কোর্স শেষে গত ১৬ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে আর্মি অ্যাভিয়েশন বেসিক কোর্স-৯ এ যোগ দেন তিনি। গত ১৮ জুন উড্ডয়ন দক্ষতা প্রমাণ করতে ১ম একক উড্ডয়ন সম্পন্ন করেন নাজিয়া।
ক্যাপ্টেন শাহরিনা বিনতে আনোয়ারও ২০০৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর ৬১তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্সের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অর্ডিন্যান্স কোরে কমিশন লাভ করেন। অর্ডিন্যান্স কোরের সব আবশ্যক কোর্স শেষে গত ১৬ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে তিনিও আর্মি অ্যাভিয়েশন বেসিক কোর্স-৯ এ যোগ দেন। গত ৩০ জুন প্রথম একক উড্ডয়ন সম্পন্ন করেন শাহরিনা।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নারী পাইলট সংযোজন একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। সেনাবাহিনীর দুই নারী পাইলট বাংলাদেশের নারীদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আর্মি অ্যাভিয়েশন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একমাত্র উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। ১৯৭৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে অদ্যাবধি বিপুল সংখ্যক সেনা পাইলটকে প্রশিক্ষিত করেছে গুরুত্বপূর্ণ এ সংস্থাটি। এতদিন এখানে শুধু পুরুষ পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। গত বছরের ১৬ নভেম্বর এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে প্রথমবারের মতো প্রতিষ্ঠানটিতে দু’জন নারী পাইলটের প্রশিক্ষণ শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৫
জেপি/এএ