ঢাকা: ‘বিতর্কিত’ অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আলী খানকে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রত্যাহার এবং নতুন বেতন কাঠামোতে সচিবালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (এও) ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের (পিও) নবম গ্রেডে উন্নীত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। এসব দাবি না মানা হলে আগামী ৫ নভেম্বর সাধারণ সভা করে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
বুধবার (২৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ও পার্সোনাল অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন যৌথসভা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মো. হাসান ইমাম।
সন্ধ্যায় ঐক্য পরিষদের মহাসচিব মো. রুহুল আমিন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকল এও-পিওদের বেতন দশম গ্রেড থেকে নবম গ্রেডে (২২০০০/-) উন্নীত করতে হবে এবং আগের মতো টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড দিতে হবে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রুহুল আমিন বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিতর্কিত অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আলী খান অর্থমন্ত্রীকে পাশ কাটিয়ে অষ্টম বেতন কমিশনের সুপারিশ বাদ দিয়েছেন। তিনি একক প্রচেষ্টায় ভেটিং করার জন্য লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক সচিবের সঙ্গে আলোচনা করেন। যদিও তিনি ভেটিং করাতে ব্যর্থ হন। কিন্তু এমন আচরণের জন্য সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। অবিলম্বে তাকে মন্ত্রণালয় থেকে প্রত্যাহার করে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে যৌথসভায়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন কমিশনের সুপারিশের প্রেক্ষিতে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৩০ শতাংশ হারে সচিবালয় ভাতা প্রদানের দাবিও জানানো হয়।
রুহুল আমিন বলেন, ‘বিতর্কিত’ অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আলীকে প্রত্যাহারসহ আমাদের দাবি না মানা হলে আগামী ৫ নভেম্বর বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৫
এসএমএ/এএসআর