ঢাকা: বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও বৈদেশিক বিনিয়োগ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে জাতিসংঘ বিশ্ব পর্যটন সংস্থা (ইউএনডব্লিউটিও)।
বুধবার (২৮ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বৌদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিষয়ক’ আন্তর্জাতিক সম্মেলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে ইউএনডব্লিউটিও মহাসচিব তালেব রিফাই এ কথা জানান।
এছাড়া বাংলাদেশের পর্যটন বিকাশে কারিগরি ও রাজনৈতিক সহযোগিতা দিতে সহযোগিতা করার কথা বলেন ইউএনডাব্লুটিও মহাসচিব।
কারিগরি সহায়তার মধ্যে সৈকত ব্যবস্থাপনা ও গাইড প্রশিক্ষণের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
তবে বাংলাদেশের পর্যটন উন্নয়নের জন্য প্রথমে অভ্যন্তরীণ পর্যটকদের প্রাধান্য দিতে হবে বলে মনে করেন তালেব রিফাই।
তিনি বলেন, এতে পর্যটনের অবকাঠামো গড়ে উঠবে। যা পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক পর্যটনে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। টুরিস্টদের নিরাপত্তায় স্থানীয়রা যেনো এগিয়ে আসেন সে ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি পর্যটনের জন্য সার্বিক সহায়তাসহ যাতায়াত ব্যবস্থারও উন্নয়ন করতে হবে।
সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, পর্যটন শুধু বিনোদনে সীমাবদ্ধ থাকবে না। ভবিষ্যতে ঐতিহ্য ও শিক্ষা হিসেবে বিবেচিত হবে।
সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পারস্পরিক সহায়তায় বাংলাদেশের ট্যুরিজমকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডে’র (বিটিবি) প্রধান নির্বাহী আক্তারুজ্জামান কবির ও পর্যটন সচিব খোরসেদ আলম।
বেসরকারি বিমান পরিবহন, পর্যটন মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘ বিশ্ব পর্যটন সংস্থার (ইউএনডব্লিউটিও) যৌথ আয়োজনে এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের (বিটিবি) ব্যবস্থাপনায় এ আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে গত মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর)।
দুই দিনব্যাপী (২৭ ও ২৮ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে ‘২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ হিসেবে’ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৫
এফবি/এসএস