ঢাকা: চট্টগ্রাম নগরীর ১৫টি পরিত্যক্ত বাড়ি উদ্ধার করে সেখানে সরকারি ফ্ল্যাট ও ডরমেটরি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে গণপূর্ত অধিদফতর। সরকারি চাকরিজীবীদের আবাসিক সমস্যা লাঘবে আধুনিক আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে এ সিদ্ধান্ত।
‘চট্টগ্রাম নগরীর পরিত্যক্ত বাড়িতে সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাট ও ডরমেটরি ভবন নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় এসব ফ্ল্যাট ও ডরমেটরি নির্মিত হবে।
প্রকল্পের আওতায় সরকারি চাকরিজীবীদের স্বাস্থ্যসম্মত আবাসিক সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি পরিত্যক্ত জমির যথাযথ ব্যবহারও করবে সরকার।
এসব ফ্ল্যাট ও ডরমেটরিতে সরকারি কাজে নিয়োজিত ৫শ ১৯টি পরিবার আবাসন সুবিধা পাবে বলে জানায় অধিদফতর।
অধিদফতর সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ, পাঁচলাইশ, কাতালগঞ্জ, ওআর নিজাম রোড, জাকির হোসেন রোড ও সার্সন রোডের ১৫টি পরিত্যক্ত বাড়ি উদ্ধার করা হবে। এসব বাড়ির জায়গায় ৫শ ২৯ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ফ্ল্যাট ও ডরমেটরি নির্মাণ করবে সরকার।
২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৯ সালের জুন মেয়াদী প্রকল্পের আওতায় ১৩টি ভবনে ৫শ ১৯টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। এরমধ্যে একটি ভবনে প্রতিটি ২৫০ বর্গফুট আয়তনের ৮০ কক্ষবিশিষ্ট ডরমেটরি নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
আধুনিক ফ্ল্যাট ও ডরমেটরি নির্মাণে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানোর কথা জানিয়ে সিডিএ চেয়ারম্যান আব্দুচ ছালাম বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদের প্রকট আবাসিক সমস্যা দূর করতে ১৫টি পরিত্যক্ত বাড়ির আধুনিক আবাসন ব্যবস্থা করা হবে।
এই প্রকল্প প্রণয়ন করে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গণপূর্ত অধিদফতর পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব পাঠিয়েছে।
১৫টি পরিত্যক্ত বাড়ির মধ্যে ১৪টিতে বহুতল ভবন নির্মিত হবে। এরমধ্যে দু’টি ভবনে প্রতিটি ১ হাজার ৮শ বর্গফুট আয়তনের ১১২টি, ৮টি ভবনে প্রতিটি ১ হাজার ৫শ বর্গফুট আয়তনের ৩শটি এবং তিনটি ভবনে ১ হাজার ২৫০ বর্গফুট আয়তনের ১০৭টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে।
অন্যদিকে ১ হাজার ৭০ বর্গমিটার অভ্যন্তরীণ রাস্তা, ২১শ রানিং মিটার সীমানা প্রাচীর, ২৩শ রানিং মিটার কম্পাউন্ড ড্রেন ব্যবস্থাপনার কাজ করা হবে।
এছাড়া ২৫ হাজার ৫শ ২৪ বর্গমিটার সেফটি ক্যানপি, পানি সরবরাহ, বিদ্যুতায়নসহ পাঁচটি গাড়ি কেনার কথা রয়েছে।
গণপূর্ত অধিদফতর জানায়, মন্ত্রণালয়ের অধীন আবাসন পরিদপ্তরের চাহিদা অনুযায়ী আবাসন সমস্যা সমাধান করতে পারছে না। বাধ্য সরকারি কর্মকর্তা অধিক মূল্যে ব্যক্তি মালিকানাধীন নিম্নমানের ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছেন। এতে সরকারি কর্মকর্তাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যা হচ্ছে। হ্রাস পাচ্ছে কর্মদক্ষতাও। এ কারণে পরিত্যক্ত বাড়িতে ফ্ল্যাট ও ডরমেটরি নির্মাণের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার।
গণপূর্ত অধিদফতরের উপ-প্রধান (পরিকল্পনা সেল) সাজ্জাদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রামে অনেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন যাদের আবাসন সমস্যা বর্তমানে প্রকট। সেই লক্ষ্যে ১৫টি পরিত্যক্ত বাড়ি উদ্ধার করে আবাসন সমস্যা মেটানো হবে।
তিনি আরও বলেন, একেকটি পরিত্যক্ত বাড়ির জমির পরিমাণ একেক ধরনের। বাড়িগুলো উদ্ধার হলে ৫শ ১৯টি সরকারি কাজে নিয়োজিত পরিবারকে আবাসন সুবিধা দিতে পারবো।
বাংলাদেশ সময় ১২২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৫
এমআইএস/এএ