ঢাকা: রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকার মুক্তি মেটার্নিটি হাসপাতালে জয়া আহমদ (১৫) নামের এক কিশোরীকে জোরপূর্বক গর্ভপাতের চেষ্টাকালে হাসপাতালটির পরিচালককে আটক করেছে রমনা থানা পুলিশ।
কিশোরী জয়া আহমদ বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
রমনা থানার এসআই বাতেন বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাতটার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জয়া আহমদকে উদ্ধার করি। এরপর হাসপাতালের পরিচালক মোঃ মোশাররফকে আটক করে থানায় পাঠানো হয়।
তবে জয়ার স্বামী ও ডাক্তার পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে জয়াকে তার স্বামী বাঁধন মুক্তি মেটার্নিটি হাসপাতালে গর্ভপাত করার উদেশ্যে নিয়ে যায় বলে জানান জয়া আহমদ।
তিনি বলেন, আমার শ্বশুর মান্নান খাঁ স্ট্রোক করেছেন- একথা বলে হাসপাতালে নিয়ে যায় বাঁধন।
জয়া বলেন, গর্ভপাতের জন্য শারীরিকভাবে নির্যাতনও করেছে তার স্বামী।
জয়ার মা হোসনেয়ারা জাফর জানান, বিকেল চারটার দিকে হাসপাতালের এক আয়া আমাকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান। সঙ্গে সঙ্গে মালিবাগ গিয়ে ওই হাসপাতাল খুঁজতে থাকি।
হাসপাতাল খুঁজে না পেয়ে পুলিশে খবর দেই। সন্ধ্যা সাতটার দিকে পুলিশসহ হাসপাতালে উপস্থিত হই। এরপর মেয়েকে প্রথমে আদ-দ্বীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে তারা ভর্তি নেয়নি। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসি বলে জানান জয়ার মা।
জয়ার খালা রোজি আকতার জানান, ২০১৪ সালে জয়া-বাঁধন পালিয়ে বিয়ে করে। তখন বাঁধনের নামে মামলা হলে সে তিনমাস জেলে থাকে। জেল থেকে বের হয়ে জয়াদের বাসায় থাকতো বাঁধন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ডাক্তার সেলিনা বাংলানিউজকে জানান, আপাতত রোগী ভালো আছে। তবে ৪৮ ঘণ্টা পরে বোঝা যাবে, আশঙ্কা মুক্ত হয়েছে কি-না এবং বাচ্চাকে বাঁচানো যাবে কি-না।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৫
এফবি/এএসআর