তূর্ণা এক্সপ্রেস থেকে: যাত্রীদের কেউ নাক চেপে আছেন। আবার কেউবা কক্ষ থেকে বের হয়ে দরজার সামনে গিয়ে দাঁড়াচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম আন্ত:নগর ট্রেন সার্ভিস তূর্ণা এক্সপ্রেসে এসি বাথের চিত্র এটি। কেবিন রুমগুলোর যাত্রীদের নাক চেপেই ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে হয়েছে। ফলে নিরানন্দ হয়ে গেছে রাতে এসি বাথে যাওয়া ট্রেন যাত্রীদের ভ্রমণ।
ট্রেনটির সর্বোচ্চ ক্লাসের (এসি বাথ) এমন অবস্থায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।
কেবিনের যাত্রী বৃষ্টি শেখ খাদিজা বাংলানিউজকে বলেন, এটা আমার প্রথম ট্রেন ভ্রমণ। ভেবেছিলাম, সর্বোচ্চ ক্লাসে রাতের ট্রেন ভ্রমণ অনেক মজা হবে। কিন্তু কেবিনের ভেতরের দুর্গন্ধে বমি ভাব নিয়ে চট্টগ্রাম এসেছি।
এসি বাথের আরেক যাত্রী শারমিনা ইসলাম বলেন, নাক চেপে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাচ্ছি! তাও আবার কেবিনে!
এসি বাথে উপস্থিত থেকে দেখা গেছে, কেবিনের প্রায় সকল যাত্রীই অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ছিলেন। যাত্রাপথের অর্ধেক পথ পার না হতেই একপর্যায়ে অ্যাটেনডেন্টদের কাছে থাকা এয়ার ফ্রেশনারও শেষ হয়ে যায়। ফলে দুর্গন্ধেই পুরো পথ চলতে হয় যাত্রীদের।
এসি বাথের রুমগুলোতে এমন গন্ধের কারণ জানতে চাইলে দায়িত্বরত অ্যাটেনডেন্টরাও সদুত্তর দিতে পারেননি।
একজন অ্যাটেনডেন্ট নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, গন্ধ দূর করার জন্য আমরা স্প্রে করে থাকি। গন্ধ থাকে বলেই আমাদের কাছে স্প্রে থাকে। তবে এ ট্রেনে আজ গন্ধ বেশি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঠিকমতো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করার কারণেই কেবিন বা এসি বাথে দুর্গন্ধ ছড়ায়।
এদিকে ট্রেনটির বিভিন্ন বগিতে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শোভন চেয়ারের বেশ কয়েকটি চেয়ারই ভাঙা, টয়লেটের অবস্থাও যাচ্ছেতাই। নেই টয়লেট পেপার ও সাবান।
যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, ট্রেনের ভাড়া বাড়লেও সেবা বাড়েনি ছিটে-ফোঁটাও।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৫ ঘন্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৫
এডিএ/এএসআর