হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জ জেলায় বছরে ৪৬ হাজার ৩২০ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন করা হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় ৬০২ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
এদিকে, চলতি বছরে অক্টোবর পর্যন্ত জেলায় মোট ৪ হাজার ২৩৪ মেট্টিক টন মাছ উদ্বৃত্ত্ব রয়েছে।
জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্র জানায়, ২ হাজার ৬৩৬ বর্গকিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট এ জেলার ৮ উপজেলা ও ৬ পৌরসভায় মোট মৎস্যজীবী রয়েছেন ৫১ হাজার ১৭১ জন। এর মধ্যে মাছ চাষি রয়েছেন ২০ হাজার ৩৭৪ জন। জেলে রয়েছেন ৩০ হাজার ৮৪ জন।
জেলার ৫৪টি হাওর, ১৬টি নদী, ১ হাজার ২১২টি বিল ও ২৩ হাজার ৫১৮টি পুকুরসহ মোট ১৭ প্রকারের ২০৫টি জলাশয়ে এসব মাছের উৎপাদন করা হয়।
উৎপাদিত মাছ বিক্রির জন্য জেলায় হাট-বাজার রয়েছে ১৭১টি। পাইকারি বাজারে বিক্রির জন্য মাছের আড়ত রয়েছে ১৫১টি। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রির জন্য মাছ সংরক্ষণ করে রাখতে বরফকল রয়েছে ৪৭টি।
বানিয়াচং উপজেলার আতুকুড়া গ্রামের মৎস্যজীবী রাখাল দাশ বাংলানিউজকে জানান, হাওরে আগের মতো পানি আসে না। পানি যদি বেশি আসতো, তাহলে মাছের উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পেত।
তিনি আরো জানান, ছাড়া মাছ চাষের জন্য কেউ কেউ বিল এবং পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে থাকেন। এতে করে মাছের উৎপাদন ব্যাহত হয়।
এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিন জানান, প্রতি বছর হবিগঞ্জে মাছের উৎপাদন বাড়ছে। ফলে উদ্বৃত্ত্ব মাছ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন পাইকারি বাজারে বিক্রি করেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
জেলার বিভিন্ন নদ-নদী নন ও হাওরসহ বিভিন্ন জলাশয়ে বিষ প্রয়োগ বন্ধ করা হলে মাছের উৎপাদন আরো বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৫
এসআর