ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বেনাপোল বন্দর দিয়ে পাট রফতানি চলছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৫
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বেনাপোল বন্দর দিয়ে পাট রফতানি চলছে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বেনাপোল (যশোর): বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে পাট রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা সত্ত্বেও বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পাট রফতানি চলছে।

কাস্টমসের একটি পক্ষ সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারির চিঠি হাতে না পাওয়ার অযুহাত দেখিয়ে ও রফতানিকারকদের কাছ থেকে অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা নিয়ে রফতানির সুযোগ করে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।



মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৪শ’ মেট্রিক টন কাঁচা পাট (র জুট) ভারতে রফতানি হয়েছে। বুধবার (৪ নভেম্বর) সকাল থেকেও রফতানির আনুষ্ঠানিকতা চলতে দেখা গেছে।

এর মধ্যে খুলনার পিয়ার জুট টেডিং নামে এক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের গ্লোয়েস্টার ইন্ডিয়া নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে ৯৯ মেট্রিক টন কাঁচা পাট রফতানি করেছে।

এছাড়া একই দিন ঢাকা ট্রেডিং নামে একটি প্রতিষ্ঠান ভারতে রফতানি করে ৩শ’ মেট্রিক টন কাঁচা পাট। যার আমদানিকারক ভারতের এমবিকা জুট মিলস।

বুধবার সকালে আরো একটি চালান ভারতে রফতানির আনুষ্ঠানিকতা চলতে দেখা গেছে।

সকালে বাংলাদেশি রফতানিকারকদের প্রতিনিধিদের ভারতে কাঁচা পাট রফতানির জন্য কাস্টমসে কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করতে দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, বেনাপোল বন্দরে বেশ কয়েকদিন ধরে কাঁচা পাট আসছে না। তাহলে কাগজ-কলমে এখনও কাঁচা পাট রফতানি হতে দেখা যাচ্ছে কেন জানতে চাইলে কাঁচা পাট রফতানির কথা স্বীকার করেন তিনি।

এসময় তিনি বলেন, সংবাদ মাধ্যমে কাঁচা পাট রফতানি বন্ধের বিষয়টি জানতে পেরেছি। কিন্তু এখনো অফিসিয়াল কোনো চিঠিপত্র বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা হাতে না পাওয়ায় রফতানি অব্যাহত রাখা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে বেনাপোল কাস্টমস হাউজের রফতানি বাণিজ্যের তদারকি প্রধান কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার ফাহাদ আল ইসলাম দুপুরে বাংলানিউজকে বলেন,  সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নির্দেশনা পেয়ে তারা মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) থেকে রফতানি বন্ধ রেখেছেন। বিষয়টি কাস্টমস কার্গোর শাখার রাজস্ব কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। এরপর রফতানি হওয়ার কথা নয়। কিন্তু তারপরও কেন রফতানি চলছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

জানা যায়, সরকারি পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ এর সঠিক বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পাট অধ্যাদেশ ১৯৬২ এর ৪ ও ১৩ ধারা মোতাবেক যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে ৩ নভেম্বর থেকে এক মাস সব ধরনের কাঁচা পাট রফতানি বন্ধ থাকবে। ২ নভেম্বর এ সংক্রান্ত্র এক প্রজ্ঞাপন জারি হয় সংশিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৫
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।