ঢাকা: পরিবার পরিকল্পনায় দীর্ঘমেয়াদী ও স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির হার বাড়ানোর লক্ষ্যে সারাদেশে আগামী ৭ নভেম্বর থেকে পাঁচ দিনব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা ও প্রচার সপ্তাহ পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করা সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘প্রসব পরবর্তী পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণ করুন, অপরিকল্পিত গর্ভধারণ রোধ করুন’ প্রতিপাদ্যে পালিত হতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা ও প্রচার সপ্তাহ। আগামী ৭ নভেম্বর থেকে এ সেবা সপ্তাহ শুরু হবে। চলবে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত।
নাসিম বলেন, সক্ষম দম্পতিদের ক্ষেত্রে দুই সন্তানের মাঝে ন্যূনতম (৩ বছর) বিরতি এবং দু’টি জীবিত সন্তানের ক্ষেত্রে দ্বিতীয়টির বয়স কমপক্ষে ১ বছর হলে স্থায়ী পদ্ধতি নিতে উদ্বুদ্ধ করাই এবারের প্রচার সপ্তাহের মূল লক্ষ্য।
এ সময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহেদ মালিক, মন্ত্রণালয়ের সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্য সচিব জানান, দম্পতিদের পরিবার পরিকল্পনার দীর্ঘমেয়াদী ও স্থায়ী পদ্ধতিতে আগ্রহী করে, তা গ্রহণের হার বাড়াতে এ সপ্তাহটি কাজে লাগানো হবে। চর এলাকায় সংশ্লিষ্ট কাজগুলোর কর্মচারী ঘাটতিও এ সপ্তাহে পূরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে, যাতে সেসব এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা আরও বাড়ানো যায়।
দেশে ৩০ শতাংশের কাছাকাছি কিশোর-কিশোরী রয়েছে। ১৮’র আগে বিয়ে নয়, ২০’র আগে গর্ভধারণ নয়- এসব প্রচার চালানো হচ্ছে, যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও ৪ হাজার ১৫৪টি সেন্টারে তারা সেবা নিতে পারবে। এছাড়া এতদিন কিশোরীদের নিয়ে বেশি কাজ হলেও এবার কিশোরদের জন্যও ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিরোধক টীকাদানে ৮৫ শতাংশ সাফল্য পেয়েছি আমরা। শিশু ও মাতৃ-মৃত্যু হার আরও অনেক কমাতে হবে।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, পরিবার পরিকল্পনার সামগ্রী বাংলাদেশে সুলভ ও সেগুলো গ্রহণের হার অনেক বেড়েছে। মানুষের সচেতনতাও অনেক বেড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৫
এসকেএস/আরএইচএস/আরএম