ঢাকা: বনজ-ভেষজ ওষুধ, গাছপালার শেকড়-বাকল বিক্রি করে চলে তার সংসার। ছোট্ট ভ্যান গাড়িতেই সব।
কবিরাজিতেই ঘুরে সংসারের চাকা। কথা বলেই জানা যায় আরও বিভিন্ন তথ্য। জানালেন, তার নাম জাহানারা বেগম (৪৮)। পরিচয় দিলেন নিজেকে নারী কবিরাজ হিসেবে।
কথা প্রসঙ্গে আরও জানালেন, এ পেশায় আছেন বিগত ২০ বছর ধরে। কার কাছ থেকে এমন বিদ্যা শিখেছেন জানতে চাইলে বলেন, স্বামী মো. বাচ্চু কবিরাজই তার গুরু। তিন ছেলে-মেয়ে ও স্বামীসহ মোট পাঁচ সদস্যের সংসার। দিন এনে দিন খেয়ে ভালোই যায় সময়। তার স্বামী ও ছেলে একই কাজ করেন।
রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ওষুধ বিক্রি করেন জাহানারা। তবে বেশিরভাগ সময় মতিঝিলের সেনা কল্যাণ ভবনের সামনে বসেই চালান বেচাকেনা। প্রতিদিন কী পরিমাণ বিক্রি হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত ২০ বছর ধরে কবিরাজি করার ফলে পরিচিতি বেশ ভালো। অনেকে নাকি বহুবার আসেন তার কাছে।
মহৌধষী ফুল মণিরাজ, পায়া হরিণ, বিভিন্ন ধরনের সুপারি, অর্জুনের ছাল, চিরতাসহ আরও অনেকগুলো নাম বললেন এক সঙ্গে। এসব গাছ-গাছরা দিয়ে তৈরি হয় বিভিন্ন ওষুধ। কী কী রোগের ওষুধ দেন এমন প্রশ্নের উত্তরে জানালেন, পেটে বিভিন্ন সমস্যা, ব্যথা, গ্যাস্টিক, ডায়াবেটিক, শরীরে দুর্বলতা, ক্ষুধা মন্দাসহ প্রায় সব রোগের ওষুধ দিতে পারেন।
সবশেষে নিজেকে নিয়ে তিনি বলেন, আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি। সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রতিদিনই মতিঝিলসহ ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াই আর পথ্য দেই। ভ্রাম্যমাণ কবিরাজ হিসেবে তো ভালোই আছি।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৫
আইএ