চাঁদপুর: চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের সাপদী গ্রাম থেকে রহিমা আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৬ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
রহিমা পাশের বাগাদী ইউনিয়নের বড় শেখ বাড়ির আবদুল হাই শেখের মেয়ে এবং তার স্বামী আনোয়ার হোসেন পাটওয়ারী স্থানী বাগড়া বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
মৃতের বড় ভাই ইব্রাহীম শেখ বাংলানিউজকে জানান, দেড় বছর আগে বালিয়া সাপদী গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ির জলিল পাটওয়ারীর ছেলে আনোয়ার হোসেন পাটওয়ারীর সঙ্গে তার বোনের বিয়ে হয়। ভগ্নিপতি আনোয়ারের পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। এ বিষয় নিয়ে রহিমা ও আনোয়ারের মধ্যে কথা কাটা-কাটি হয়। সকালে তার ভগ্নিপতির ছোট ভাই বশির ফোন করে প্রথমে জানায় তার বোনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সকাল ৯টার দিকে আবার জানায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
রহিমার বাবা আবদুল হাই শেখ অভিযোগ করে বাংলানিউজকে বলেন, রাতের তার মেয়েকে হত্যা করে ওই বাড়ি থেকে পাঁচশ’ গজ দূরে মোজাম্মেল হোসেন পাটওয়ারী বাড়ির পাশের বাগানের ছোট একটি গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে। সকালে বাড়ির লোকজন তাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করলে তার মরদেহ গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলতে দেখে চাঁদপুর মডেল থানায় খবর দেন।
চাঁদপুর মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ শামীম বাংলানিউজকে জানান, পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর ওই বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।
মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৫
এএটি/এসএইচ