ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

আগামী ১২ মাসে ৮৩ পাবলিক টয়লেট তৈরি ঢাকা উত্তরে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৫
আগামী ১২ মাসে ৮৩ পাবলিক টয়লেট তৈরি ঢাকা উত্তরে ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকার সিএনজি স্টেশন ও পেট্রোল পাম্পসহ বিভিন্ন জায়গায় অত্যাধুনিক মোট ৮৩টি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হবে।

সোমবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় ডিএনসিসির মেয়র আনিসুল হক এ কথা জানান।

ডিএনসিসি এলাকার সিএনজি স্টেশন ও পেট্রোল পাম্প মালিকদের নিয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

আনিসুল হক বলেন, সিএনজি স্টেশন ও পেট্রোল পাম্পসহ বিভিন্ন জায়গায় আগামী বছরের জুনের মধ্যে ৪০টি এবং ডিসেম্বরের মধ্যে ৪৩টি মিলিয়ে মোট ৮৩টি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হবে। এসব টয়লেট হবে নারী ও প্রতিবন্ধীবান্ধব। পর্যায়ক্রমে ডিএনসিসিতে তিন বছরে তিনশ’ পাবলিক টয়লেট তৈরি করা হবে।

এ পাবলিক টয়লেট তৈরির জন্য তিনি সিএনজি স্টেশন ও পেট্রোল পাম্প মালিকদের কাছে একশ’ থেকে আড়াই’শ ফিট জায়গা দেওয়ার অনুরোধ করেন।

মেয়র জানান, সিএনজি স্টেশন ও পেট্রোল পাম্পসহ বিভিন্ন জায়গায় যেসব টয়লেট রয়েছে সেগুলোও জনসাধারণের ব্যবহারের উপযোগী করা হবে।

আটটি বড় পাবলিক টয়লেট তৈরির কাজ চলছে, এরমধ্যে দু’টির কাজ সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, পর্যায়ক্রমে মিরপুর ও বিভিন্ন মেইন রোডের পাশেও পাবলিক টয়লেট তৈরি করা হবে। ফার্মগেট, তেজগাঁও, মহাখালী, নাবিস্কো, গুলশান-২ সহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়ও পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হবে।    

ঢাকা উত্তরের যানজট নিয়ে মেয়র বলেন, তেজগাঁও এলাকার ট্রাক স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করা হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে আমিনবাজার ও গাবতলী এলাকাকে যানজট মুক্ত করা হবে।

সভায় ওয়াটার এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. খায়রুল ইসলাম বলেন, শুধু টয়লেট তৈরি করলেই হবে না। সেগুলো পরিষ্কার রাখাও বড় চ্যালেঞ্জ।

যেসব টয়লেট নির্মাণ করা হবে, সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সার্বক্ষণিক নারী ও পুরুষ কেয়ারটেকার রাখার পরামর্শ দেন তিনি।

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম এনামুল হক বলেন, প্রত্যেক মার্কেটের টয়লেটগুলোকে কাজে লাগানো যায়। মার্কেটগুলোতে যেসব টয়লেট আছে সেগুলোতে ওয়াশ রুম তৈরি করা হলে ক্রেতারা বাজারেও উপকৃত হবে। এজন্য তিনি প্রত্যেক মার্কেটে ওয়াশ রুম করার পরামর্শ দেন।

মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাঈদ আনোয়ারুল ইসলাম, প্রকৌশলী ড. তারিক বিন ইউসুফ, পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির সভাপতি নাজমুল হক, সিএনজি স্টেশন মালিক সমিতির মাসুদ খান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৫
এমআইকে/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।