ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বিজিবি ও বিজিপির পতাকা বৈঠক বুধবার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫
বিজিবি ও বিজিপির পতাকা বৈঠক বুধবার

কক্সবাজার: বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সীমান্ত কাঠুরিয়া নিখোঁজের বিষয়ে বুধবার পতাকা বৈঠকে বসছে বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)।

বাংলাদেশ সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ির আশারতলীর ৪৬ ও ৪৭ নম্বর সীমানা পিলারের মধ্যবর্তী এলাকা থেকে গত ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশি দুই কাঠুরিয়া নিখোঁজের ঘটনায় এই পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানান বিজিবি কক্সবাজার সেক্টরের কমান্ডার কর্ণেল এম এম আনিসুর রহমান।



তিনি বলেন, বুধবার সকাল ১০টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের বিজিবির বিওপি ক্যাম্পে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ব্যাটেলিয়ন পর্যায়ে এ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে বিজিবি কক্সবাজার ১৭ ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল ইমরান উল্লাহ সরকারের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেবে।

এদিকে নাইক্ষ্যংছড়িতে নিখোঁজ দুই বাংলাদেশি কাঠুরিয়া পরিবারের দাবি, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যরা গুলি করে হত্যার পর তাদের লাশ নিয়ে গেছে।

নিখোঁজেরা হল, নাইক্ষ্যংছড়ির আশারতলী গ্রামের মীর কাশেমের ছেলে ছৈয়দ আলম (৪৫) ও মোহাম্মদ হোছাইন কেরানীর ছেলে জয়নাল আবেদীন (৩০)।

কিন্তু বিজিবি সহ সংশ্লিষ্টরা বিষয়টির ব্যাপারে প্রথম থেকে নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের কিছুই জানাতে পারেননি। তবে এ নিয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সঙ্গে বিজিবির পক্ষে চিঠি প্রেরণ করা হলেও বিজিপি এ ঘটনা অস্বীকার করে আসছে।

নাইক্ষ্যংছড়ির সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নুর হোসেন নিখোঁজ কাঠুরিয়া পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে জানান, গত ১৪ ডিসেম্বর সকালে নাইক্ষ্যংছড়ির আশারতলীর সীমান্তবর্তী জিরো পয়েন্টের কাছাকাছি বাংলাদেশের অভ্যন্তর এলাকায় কাঠ সংগ্রহে যান নিখোঁজ জয়নাল আবেদীনসহ বাংলাদেশি তিন কাঠুরিয়া। কাঠ সংগ্রহের এক পর্যায়ে মিয়ানমারের বিজিপির সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে। এসময় অক্ষত অবস্থায় একই এলাকার আমান উল্লাহ ও নুরুল আমিন ফিরে এলেও তখন থেকে জয়নালের কোনো খোঁজ নেই। তার পরিবারের দাবি, বিজিপির সদস্যরা তাকে গুলি করে হত্যার পর লাশ নিয়ে গেছে।

ফিরে আসা মোহাম্মদ আলমের বরাত দিয়ে ইউপি সদস্য নুর হোসেন জানান, এর পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ির আশারতলী সীমান্তের ওই এলাকায় নিখোঁজ জয়নালের সন্ধানে গিয়েছিলেন একই এলাকার ছৈয়দ আলম (৪৫) ও মোহাম্মদ আলম (২৮)। ওই দিনও মিয়ানমারের বিজিপির সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ ঘটনার পর নুরুল আমিন ফিরে এলেও ছৈয়দ আলম নিখোঁজ রছেন। এ নিয়ে হত্যার পর ছৈয়দ আলমের লাশ বিজিপির সদস্যরা নিয়ে যায় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। যদিও বিজিবি সহ সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি করতে পারেননি।
 
এ ব্যাপারে বিজিবির কক্সবাজার সেক্টরের কমান্ডার কর্ণেল এম এম আনিসুর রহমান বলেন, সীমান্তে দুই বাংলাদেশী কাঠুরিয়া নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় বিজিবির সদস্যরা সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশী চালায়। তবে গুলি করে হত্যাকাণ্ড সংঘটনের কোন আলামত পাওয়া না গেলেও বিজিবির পক্ষ থেকে বিজিপির কাছে বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে অবহিত করা হয়। পরে চিঠির প্রতি উত্তরে বুধবার বিষয়টি নিয়ে দু’দেশের সীমান্তবর্তী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০১৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫
বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।