ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ব্যারিস্টার ফখরুলের আদালত অবমাননার আদেশ পিছিয়ে ১১ জানুয়ারি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫
ব্যারিস্টার ফখরুলের আদালত অবমাননার আদেশ পিছিয়ে ১১ জানুয়ারি ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম

ঢাকা: স্কাইপি সংলাপে বিচারপতিদের সম্পর্কিত তথ্য জানতে চাওয়ায় ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের আদেশ পিছিয়ে আগামী ১১ জানুয়ারি পুননির্ধারণ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি কার্যকর হওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের সাকা চৌধুরীর এই আইনজীবীর বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য ছিল বুধবার (২৩ ডিসেম্বর)।

তবে চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল আদেশের দিন পিছিয়ে আগামী ১১ জানুয়ারি পুনর্নির্ধারণ করেন।

সাকা চৌধুরীর মামলার রায়ের খসড়া ফাঁস করার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় ২০১৩ সালের ২০ নভেম্বর গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আটক ছিলেন ব্যারিস্টার ফখরুল। সম্প্রতি হাইকোর্টের জামিনে মুক্ত হয়ে বুধবার ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন তিনি।

২০১৩ সালের ১৪ জানুয়ারি ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিচারিক বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগে কারণ দর্শাও (শো’কজ) নোটিশ জারি করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনাল-১ এর পদত্যাগী চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের কথিত স্কাইপি সংলাপের সঙ্গে ট্রাইব্যুনালের অপর দুই বিচারপতির সংশ্লিষ্টতা ছিল কি-না, কিংবা তারাও এ ধরনের সংলাপ করেছিলেন কি-না- তার ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে সাকা চৌধুরীর পক্ষে আবেদন করায় ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হবে না- তা জানতে চেয়ে এ নোটিশ জারি করা হয়।

ওই বছরের ৭ মার্চ লিখিতভাবে নি:শর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন ব্যারিস্টার ফখরুল। আবেদনটি পাওয়ার পর এ বিষয়ে আদেশের জন্য ৮ এপ্রিল দিন ধার্য করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।

৮ এপ্রিল ব্যারিস্টার ফখরুল সময়ের আবেদন জানান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন এ বিষয়ে শুনানির আবেদন জানান। এসব আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানির আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। পরে নি:শর্ত ক্ষমা প্রার্থনার পরেও এর নিষ্পত্তিতে শুনানি হয় কি-না- সে বিষয়ে সুলতান মাহমুদ সীমন এবং নি:শর্ত ক্ষমা প্রার্থনার পরে শুনানির প্রয়োজন নেই ও ক্ষমা করে দেওয়ার পক্ষে ব্যারিস্টার ফখরুল নিজেই কয়েক দফা শুনানিতে অংশ নেন।

শুনানি শেষে আদেশ দানের দিন বেশ কয়েক দফা ধার্য করলেও পিছিয়ে দেন ট্রাইব্যুনাল।

এর আগেও ২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বর আদালতের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে শো’কজ নোটিশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। তারও আগে ১৫ মে সাকার বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষী বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানকে সাক্ষ্য দান শেষে ট্রাইব্যুনালে এবং পরে সাংবাদিকদের কাছে কয়েক দফা ‘মিথ্যুক’ বলায় ব্যারিস্টার ফখরুলকে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হবে না, সে ব্যাপারে ‘কারণ দর্শাও’ নোটিশ জারি করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। ব্যারিস্টার ফখরুল ওই দু’দফায় নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করায় তাকে ক্ষমা করে দেন ট্রাইব্যুনাল।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫
এমএইচপি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।