ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘এবার ডাইরেক্ট অ্যাকশন’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫
‘এবার ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. শাহ নেওয়াজ

ঢাকা: এখন আর সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হবে না, কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে ‘ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. শাহ নেওয়াজ।

বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ হুঁশিয়ারি দেন।



শাহ নেওয়াজ বলেন, মাঠ পর্যায়ে ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত রয়েছেন। এখন থেকে আর কাউকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হবে না। যে-ই আচরণবিধি লঙ্ঘন করবে, তার বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন নেওয়া হবে।
 
তিনি বলেন, চিঠি দিয়ে সর্তক করার বিষয় নয়, এখন অ্যাকশনের বিষয়। এখন সরাসরি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেটদের মাধ্যমে অ্যাকশন নেওয়ার জন্য বলেছি। আচরণবিধি ভঙ্গ করলে সবার প্রতি নির্দেশ, যেন সঙ্গে সঙ্গেই অ্যাকশন নেয়। সংসদ সদস্য বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, কোনো ব্যক্তি অথবা প্রার্থী, যে-ই হোক, আচরণবিধি ভঙ্গ করলে সবার প্রতিই আমাদের আদেশ এবং নির্দেশ যেন অ্যাকশন নেওয়া হয়। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি প্রার্থীর পক্ষে কাজ করলে প্রার্থীর প্রার্থিতাও বাতিল করে দেবো।
 
আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এ পর্যন্ত প্রায় ৭০ জনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বলেছিল নির্বাচন কমিশন। রিটার্নিং কর্মকর্তারা এ অভিযোগগুলোর অধিকাংশেরই কোনো তদন্ত প্রতিবেদন ইসিতে পাঠাননি। যেসব প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে সেসবে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
 
এই অবস্থায় ইসি শাহ নেওয়াজ প্রার্থী এবং প্রার্থীর পক্ষের ব্যক্তিদের প্রতি এমন হুঁশিয়ারি দিলেন।
 
তিনি বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও হঠাৎ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যায়, মারামারি হয়। তখন ব্যবস্থা নিতে হয়। তবুও নির্দেশ দিয়েছি, আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তারা পিছপা যেন না হয়। আমি আগেও বলেছি, যে পিছপা হবে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবো। কিন্তু দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে ডিফেন্ড করবো। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। প্রতিদিনই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের শোকজ করতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলছি। যত বড় লোকই হোক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি, আশা করছি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবাইকে আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে। সংসদ সদস্যরাও বিধি লঙ্ঘন করলে সরকার প্রধানের সহায়তা চেয়েছি। তিনি নিশ্চয় খেয়াল করবেন। কেননা, সুষ্ঠু নির্বাচন একা করা সম্ভব নয়। কারো সহায়তা চাওয়াও ইসির আয়ত্ত্বে নয়। এজন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহায়তা চাচ্ছি।
 
শাহ নেওয়াজ বলেন, নির্বাচনের শেষের দিকে আক্রমণাত্মক হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরাই বলেছে। তবে নির্বাচন যেন ব্যাহত না হয়, সে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাদের নির্দেশ দিয়েছি।
 
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিপক্ষে চলে গেছে মোটেই সত্য নয়। এমন পরিস্থিতি দৃষ্টিগোচর হলে সরাসরি নির্দেশ দিয়েছি ব্যবস্থা নিতে।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশের ২৩৩ পৌরসভায় একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে ৯২০ জনের মতো মেয়র প্রার্থী এবং ১১ হাজার ১০০ জনের মতো কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচনী প্রচারণায় এখন পর্যন্ত মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধেও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫/আপডেট ১৬৩০ ঘণ্টা
ইইউডি/এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।