ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

২০১৬ সালেই স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাচ্ছে শাহ মেরিন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫
২০১৬ সালেই স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাচ্ছে শাহ মেরিন

ঢাকা: দেশের প্রথম বেসরকারি মেরিন একাডেমি শাহ মেরিন অ্যান্ড বিজনেস ইন্সটিটিউট ২০১৬ সালের শুরুতেই শ্যামলীর অস্থায়ী ক্যাম্পাস থেকে হেমায়েতপুরের স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাচ্ছে। চলতি বছর ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম স্থায়ী ক্যাম্পাসেই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ এম আই চৌধুরী।



শুধু স্থায়ী ক্যাম্পাসেই নয়, শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করার সুযোগ পাবেন ‘এ’ ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠানে।

শাহ এম আই চৌধুরী বলেন, মেরিন শিক্ষায় আন্তর্জাতিক সিলেবাস ফলো করে শাহ মেরিন। এছাড়া আমাদের শিক্ষার্থীদের পরের দুই বছরের শিক্ষা যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ টিন্নি সাইড কলেজে দেওয়া হয়। সার্টিফিকেটও দেওয়া হয় তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে। ফলে আন্তর্জাতিক কোনো জাহাজে কাজ করতে তাদের কোনো অসুবিধা হয় না। সব সুবিধা থাকার পরও নিজস্ব ক্যাম্পাস না থাকায় আমাদের মেরিন একাডেমিকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে রাখা হতো।

কিন্তু এখন নিজস্ব ক্যাম্পাস হওয়ায় আর ‘এ’ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্তিতে শাহ মেরিন বিজনেস ইন্সটিটিউটের কোনো বাধা থাকছে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

২০১৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৩ দশমিক ৫ পাওয়া যেকোনো শিক্ষার্থী শাহ মেরিন অ্যান্ড বিজনেস ইন্সটিটিউটে ভর্তির জন্য ফরম সংগ্রহ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ।

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে প্রতিষ্ঠানটির ভর্তি কার্যক্রম।  

শাহ মেরিন অ্যান্ড বিজনেস ইন্সটিটিউটের চেয়ারম্যান মাকসুদা আফরোজ চৌধুরী বলেন, শাহ মেরিন অ্যান্ড বিজনেস ইন্সটিটিউটটি সব দিক থেকে আন্তর্জাতিক মান ধরে রাখছে।

আমাদের কোনো ক্যাডেট কোথাও কর্মহীন নেই। আমাদের এখান থেকে শিক্ষাজীবন শেষ করে একশ’রও বেশি ক্যাডেট বিদেশি নামকরা সব প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে।

ভবনটির নকশা সম্পর্কে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বিশ্বে ভ্রমণপিপাসুদের কাছে কোরিয়ান রিসোর্ট সানক্রুজের নাম উল্লেখযোগ্য। তাই আমরা ভেবেছি, তার একটু স্বাদ আমাদের শিক্ষার্থীদের দিতে পারি কি-না। সানক্রুজের নকশা অনুসরণ করে তৈরি হচ্ছে শাহ মেরিন অ্যান্ড বিজনেস ইনস্টিটিউটের নিজস্ব ক্যাম্পাস।

তিন একর জায়গায় গড়ে উঠছে ক্যাম্পাসটি। অবকাঠামোগত কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।

৫০০ শিক্ষার্থীর উপযোগী করে আবাসিক হোস্টেল সুবিধাও রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।

মূল ভবন ছাড়াও ক্যাম্পাসে রয়েছে আরো তিনটি ভবন। রয়েছে স্টাফ কোয়ার্টার।

তিনতলা বিশিষ্ট স্টাফ কোয়ার্টারে মোট ২০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকতে পারবেন। নিরাপত্তা রক্ষায় ক্যাস্পাসটির নিজস্ব সিকিউরিটি ফোর্সও রাখা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫
ইউএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।