ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ জুলাই ২০২৪, ০১ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

গভীর সমুদ্রে ট্রলারসহ ভাসছে ৩০ জেলে

উপজেলা করেসপেন্ডন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৫
গভীর সমুদ্রে ট্রলারসহ ভাসছে ৩০ জেলে

পাথরঘাটা (বরগুনা): গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার সময় জেলে বহরে দস্যুরা হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে। এ সময় একটি ট্রলারসহ তিন জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় দস্যুরা।



এছাড়া অপর একটি ট্রলারের ইঞ্জিন খুলে নিয়ে যাওয়ায় ওই ট্রলারের প্রায় ৩০ জেলে গভীর সমুদ্রে ভাসছে বলে বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা।

তিনি জানান,  ১৬ ডিসেম্বর (বুধবার) পাথরঘাটা থেকে এফবি মামুনি ট্রলারসহ ১৯ জেলে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়। বঙ্গোপসাগরের জাহাজামারা এলাকায় বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) গভীর রাতে সুন্দরবনের শসস্ত্র দস্যু বাহিনী জেলে বহরে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে। এ সময় এফবি মামুনি ট্রলারের ১৯ জেলের মধ্যে কালাম মাঝি, মাসুম মিস্ত্রী ও জাকির মিস্ত্রীকে অপহরণ করে দস্যুরা।  

এফবি মামুনি ট্রলারের জেলেদের পার্শ্ববর্তী এফবি কিশোয়ান ট্রলারে উঠিয়ে দেয় তারা। এর পর ওই ট্রলারের ইঞ্জিন খুলে নিয়ে এফবি মামুনি ট্রলারসহ গহীন বনে চলে যায় দস্যুরা। এরপর থেকে ইঞ্জিনবিহীন এফবি কিশোয়ান ট্রলারসহ অন্তত ৩০ জন জেলে গভীর সমুদ্রে ভাসছে।

এ পর্যন্ত ভাসমান জেলেদের মধ্যে যাদের নাম পাওয়া গেছে তারা হলেন, জহিরুল হক, নান্না মিয়া, শহিদ, কবির, জামাল, মামুন, মতি মিয়া, মহিউদ্দিন, জোবায়ের, মনির হোসেন, খোকন মিয়া, আবুল কালাম, বাদশা মিয়া, আ. রহমান, দুলাল, আবু কালাম, আবুল হোসেন।

এফবি মামুনি ট্রলারের জেলে নান্না মিয়া মোবাইল ফোনে বাংলানিউজকে জানান, ট্রলারের ইঞ্জিন খুলে নিয়ে যাওয়ায় তারা এখনো ভাসমান অবস্থায় রয়েছেন। ইতোমধ্যে অনেকেই আতঙ্কে দুর্বল হয়ে পড়েছেন।

এফবি মামুনি ট্রলারের মালিক আ. মান্নান মোল্লা। তার বাড়ি বরগুনা জেলার নলটোনা ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া এলাকায়। ভাসমান এফবি কিশোয়ান ট্রলারের মালিকের নাম আ. মজিদ। তিনি কক্সবাজারের বাসিন্দা।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি শুনে ট্রলার ও জেলেদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।