ঢাকা, শনিবার, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

‘বিষ-বিদ্বেষ থেকে শিশু-কিশোরদের দূরে রাখতে হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৫
‘বিষ-বিদ্বেষ থেকে শিশু-কিশোরদের দূরে রাখতে হবে’ ছবি: শাকিল / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: কাজের চেয়ে রাজনীতি ভাষণসর্বস্ব হয়ে গেছে মন্তব্য করে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে ভালো কাজের দৃষ্টান্ত কম। আমি ভালো কাজের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই।

সেজন্য কমিটমেন্ট নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। সময়টা আমি দেশের মানুষের কল্যাণে ব্যয় করতে চাই। ভাষণসর্বস্ব রাজনীতি দিয়ে সময়টা নষ্ট করতে চাই না।
 
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমিতে কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।   
 
মন্ত্রী বলেন, রাজনীতিতে কথামালার ফুলঝুড়ি যেমন আছে তেমনি কথামালার চাতুরিও আছে। অনেকের মুখ থেকে আজ ফরমালিনের মতো বিষ-বিদ্বেষও নিঃসৃত হচ্ছে। এগুলো থেকে শিশু-কিশোরদের দূরে রাখতে হবে।  
 
মন্ত্রী বলেন, উত্তরা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত মেট্রোরেল হচ্ছে। উত্তরা থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হবে। কাজ শুরু হয়েছে। আরো দু’টি মেট্রো রেললাইনের জন্য আমি টোকিওতে গিয়ে জাইকাকে অনুরোধ করে এসেছি।
 
চট্টগ্রামে কর্ণফুলী টানেলের কাজ নতুন বছরের শুরুতেই আমরা শুরু করবো। ১৯০ কিলোমিটারের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ফোরলেন করার কাজ চলছে। ১৭৫ কিলোমিটারের প্রথম ধাপের কাজ হয়ে গেছে। আশা করছি, আগামী মাসের প্রথম দিকে বাকি কাজ শেষ হবে।
 
ফ্লাইওভারের কাজের কারণে রাজধানীবাসীর দুর্ভোগের বিষয়টি স্বীকার করে মন্ত্রী আরো বলেন, আগামী একমাসের মধ্যে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি। তবে কাজ শেষ হলে আজকের দুর্ভোগ আর মনে থাকবে না।
 
আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতেও পাকিস্তান বাংলাদেশকে পরাজিত করেছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে জাতিসংঘ বলছে, আর্থ-সামাজিক প্রত্যেকটি সূচকে বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে। এতে এটাই প্রমাণিত হলো, একাত্তরে আমাদের লড়াই, বিজয় ভুল ছিল না।
 
মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানকে আমরা পরাজিত করেছি। আজকে আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির দিক দিয়েও পরাজিত করলাম।
 
সন্ধ্যার কিছু আগে শিল্পকলার জাতীয় সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে জাতীয় সঙ্গীতের পর প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে শুরু হয় কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের তিনদিনের সাংস্কৃতিক উৎসব। সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধন করে নাট্যজন মামুনুর রশিদ।
 
খেলাঘরের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর চেয়ারম্যান অধ্যাপক পান্না কায়সারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক,  দেশবরেণ্য রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, সাংস্কৃতিক উৎসব উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক আবুল ফারাহ পলাশ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, একাত্তরে ২৫ মার্চ কালো রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তান। তাই গণহত্যার দায় স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা না করা পর্যন্ত পাকিস্তানের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ধরনের শিক্ষা সম্পর্ক বন্ধ থাকবে।  
 
নতুন প্রজন্মকে সাংস্কৃতিক সংগঠন, কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে যুক্ত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
 
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বলেন, আমাদের পথ হওয়া দরকার শান্তির, সহমর্মিতার-সহযোগিতার। কেবল একটি দেশের বাসিন্দা নয়, আমাদের বিশ্বমানব হয়ে উঠতে হবে। শান্তিতেও আমরা সবার চেয়ে এগিয়ে যেতে চাই।

আলোচনা অনুষ্ঠানের পরই শুরু হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর ছাড়াও গাজীপুর জেলা ও কাউখালী আঞ্চলিক কমিটির শিশু-কিশোররা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৫
এমএইচপি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।