ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সেতু হাওরের মাইলফলক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৫
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সেতু হাওরের মাইলফলক ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জ জেলার হাওরবেষ্টিত অষ্টগ্রাম উপজেলায় ধলেশ্বরী নদীর উপর নির্মিত রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সেতু হাওরের জন্য মাইলফলক হিসেবেই দেখছেন হাওরবাসী।

এ সেতু নির্মাণ হওয়ায় উপজেলার ৫ ইউনিয়নের জনসাধারণ সারা বছর এক ইউনিয়ন থেকে অন্য ইউনিয়নে যাতায়াত করতে পারছে আগের চেয়ে অনেক সহজে।



২০১৫ সালের ১২ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ নিজ নামে তৈরি এ সেতু উদ্বোধন করেন।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একটা সময় হাওরে প্রচলিত কথা ছিল ‘বর্ষায় নাও (নৌকা), শুকনায় পাও (পা)’। ওই প্রচলিত কথা বর্তমানে হাওরবাসীর জন্য অতীত হয়ে গেছে। শুকনায় তারা (হাওরবাসী) উপজেলাসহ জেলায় যানবাহন দিয়ে চলাচল করে।

কিন্তু হাওরবাসীর বর্ষায় জেলাসহ রাজধানী ঢাকার সঙ্গে নৌকার প্রচলনটা থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে গাড়ি দিয়ে যোগাযোগ করবে বলে আশাবাদী হাওরবাসী।
আরও জানা যায়, অষ্টগ্রাম সদর, পূর্ব অষ্টগ্রাম, কাস্তুল, বাঙ্গালপাড়া ও দেওঘর ইউনিয়নের প্রায় এক লাখ মানুষ সারা বছর সড়ক পথে এই সব ইউনিয়নে যোগাযোগ করতে পারবে। দীর্ঘদিনের স্বপ্নের সেতু নির্মিত হওয়ায় ওই উপজেলার মানুষ উচ্ছ্বসিত। এখন থেকে তাদের নৌকা বা ট্রলার দিয়ে এক ইউনিয়ন থেকে অন্য ইউনিয়নে যোগাযোগ করতে হবে না। সড়কপথই হবে ৫ ইউনিয়নের যোগাযোগের মাধ্যম।

বাঙ্গালপাড়ার ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুর রউফ বাংলানিউজকে জানান, এ সেতুর ফলে ৫টি ইউনিয়নে মানুষের মধ্যে সম্প্রিতির সেতুবন্ধন তৈরি হয়েছে।

এছাড়াও হাওরের সৌন্দর্য পিপাসু মানুষদের জন্য সেতুটি বিনোদন স্পট হয়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস।

অষ্টগ্রাম উপজেলার বাসিন্দা নবেন্দু নির্মল সাহা জয় বাংলানিউজকে জানান, এ সেতু ভাটির স্বপ্নডানা। এ ডানায় চড়ে ভাটি মানুষ ঘুরে বেড়াবে এ গ্রাম থেকে ওগ্রামে। এ সেতু ৫ ইউনিয়নবাসীর স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মাওলা বাংলানিউজকে জানান, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সেতু ৩৪১ মিটার দীর্ঘ। আর এ সেতু নিমার্ণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪১ কোটি ২০ লাখ টাকা।
অষ্টগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মহসীন উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, একটা সেতুর কারণে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টি ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ অর্থনৈতিক গতি তরান্বিত হয়েছে। সর্বোপরি হাওরবাসীর জন্য এ সেতু সবচেয়ে বড় পাওয়া।

এছাড়া এবছর মিঠামইন উপজেলায় একটি বিদ্যুৎ পাওয়ার সাব স্টেশন তৈরি হয়েছে যা থেকে আমরা প্রায় ২০ ঘণ্টার মতো বিদ্যুৎ পাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৫
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।