ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

শ্রীমঙ্গলে খ্রিস্টান উপাসনালয় ভষ্মীভূত

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫
শ্রীমঙ্গলে খ্রিস্টান উপাসনালয় ভষ্মীভূত ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার): শ্রীমঙ্গলে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের একটি শিশুশিক্ষা কেন্দ্র ও উপাসনালয় আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।

তবে ইতোমধ্যে স্থানীয় প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।



শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টায় কালাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ফুলছড়া চা বাগানের গারো পল্লীতে অবস্থিত ধর্মীয় উপাসনায় এবং ফুলছড়া শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে।

রোববার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গল শহর থেকে প্রায় পনেরো কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ফুলছড়া চা বাগানের গারো পল্লীতে গিয়ে দেখা যায় ইট ও টিন দিয়ে তৈরি উপাসনালয়ের ভেতরের সব আসবাবপত্রই পুড়ে গেছে। উপরের বাঁশের তরজাগুলো কয়লা হয়ে নিচে পড়ে আছে।

এলাকাবাসী সুভাষ দারিং বলেন, রাতে আমরা সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। অনুমানিক দেড়টার দিকে আমাদের গীর্জা ঘরে আগুন লাগে। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুরো ঘর পুড়ে যায়। আমরা আগুন নেভানো চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি।

রোববার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন শ্রীমঙ্গল ধর্মপল্লীর (ক্যাথলিক চার্চ) পালপুরোহিত ফাদার সুব্রত বনিফাস টলেন্টিনু, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শহীদুল হক, শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, মাজদিহি চা বাগানের চাউতলি ডিভিশনের সহকারী ব্যবস্থাপক শামীম আহমেদ, শ্রীমঙ্গল উপজেলা চেয়ারম্যান রনধীর কুমার দেব, কালাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতলিব প্রমুখ।

গারো পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মিল্টন সাংমা বলেন, এখানে গারো শিশুদের ধর্মীয় স্কুল এবং উপাসনালয় দুটোই আলাদা আলাদা সময়ে পরিচালিত হয়ে আসছে। সম্ভবত সৌরবিদ্যুৎ থেকেই আগুন লাগতে পারে। আমাদের কাউকেই সন্দেহ নেই।

শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং পুড়ে যাওয়া আলামতগুলো দেখে প্রাথমিক ধারণায় মনে হচ্ছে এটি সৌরবিদ্যুৎ থেকেই লেগেছে। চার বছর আগে সংযোগ দেওয়া সৌরবিদ্যুতের ব্যবহৃত ব্যাটারিগুলো কখনো রক্ষাবেক্ষণ করা হয়নি। আর গারো সম্প্রদায়ের লোকেরা কাউকেই সন্দেহ করছে না।

উপজেলা প্রশসনের পক্ষ থেকে তাদের এ গীর্জাঘরটি মেরামত করে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।  

মাজদিহি চা বাগানের চাউতলি ডিভিশনের সহকারী ব্যবস্থাপক শামীম আহমেদ বলেন, গীর্জাঘরের ব্যাটারিগুলো অনেক পুরাতন হয়ে গিয়েছিল। সম্ভবত ওই ব্যাটারি থেকে এসিড লিক করে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। গতরাতে ভেতরে লাইট জ্বালানো ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫
বিবিবি/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।