ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

সুন্দরবনে বন্দুকযুদ্ধে ২ দস্যু নিহত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৫
সুন্দরবনে বন্দুকযুদ্ধে ২ দস্যু নিহত ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বাগেরহাট: বাগেরহাটের মংলা থানার অন্তর্গত সুন্দরবনে পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের তাম্বুল বুনিয়া খালে র‌্যাব-আট এর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ‘আকাশ বাবু’ বাহিনীর প্রধানসহ দুই দস্যু নিহত হয়েছেন।

সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় ঘটনাস্থল থেকে দেশি-বিদেশি ১৭টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৪৫০ রাউন্ড গুলিসহ বিপুল পরিমাণ রসদ উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন-দস্যু ‘আকাশ বাহিনী’র প্রধান বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার আবুল কাশেম বিল্লাল ওরফে আকাশ বাবু (৪০) ও বাহিনীর উপ-প্রধান ফরিদ শেখ ওরফে মেঝ ভাই (৪৫)।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-আট এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফরিদুল আলম বাংলানিউজকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুন্দরবনের তাম্বুলবুনিয়া এলাকায় দস্যু ‘আকাশ বাবু’বাহিনীর আস্তানার সন্ধানে অভিযানে যায় র‌্যাব। এসময় বনের ভেতর একটি বাইন গাছের উপর নিরাপত্তা চৌকি দেখে র‌্যাব সদস্যরা কৌশলগত অবস্থান নিয়ে এগুতে থাকে। টের পেয়ে সকাল সোয়া ৭টার দিকে শ্যালা নদীর তাম্বুলবুনিয়া খালের পশ্চিম পাশ থেকে র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে দস্যুরা। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। প্রায় আধাঘণ্টা উভয়পক্ষের মধ্যে থেমে থেমে গুলি বিনিময়ের পর দস্যুদের পক্ষ থেকে গুলি ছোড়া বন্ধ হয়। পরে র‌্যাব সদস্যরা ওই এলাকায় থাকা জেলে ও পুলিশ ফোর্স নিয়ে বনের ভেতর তল্লাশি চালিয়ে দু’টি গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ এবং অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করে।

এসময় জেলেরা গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ দু’টি ‘আকাশ বাহিনী’র প্রধান ও উপ-প্রধান বলে শনাক্ত করে।

উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদের মধ্যে রয়েছে- চারটি এলজি, পাঁচটি কাটা বন্দুক, ছয়টি পাকিস্তানি একনলা বন্দুক, দু’টি চাইনিজ এয়ার রাইফেল, ৪৫০ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গুলি ও সাতটি ধারালো রামদা।   এছাড়া এসময় দু’টি বাইনোকুলার, মোবাইল ফোন ও চাঁদা আদায়ে ব্যবহৃত রশিদসহ দস্যুদের ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব-আট এর উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান কবির বাংলানিউজকে জানান, ‘আকাশ বাবু’ বাহিনী সুন্দবনের শরণখোলা রেঞ্জ ও চাঁদপাই রেঞ্জের হারবাড়িয়া, তাম্বুলবুনিয়া ও পশুর নদী সংলগ্ন বিভিন্ন খালে ডাকাতি, জেলে অপহরণ ও মাছ ধরা ট্রলারে লুটপাট ও মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল। নভেম্বর মাসেও শরণখোলার এক স্কুলছাত্র এবং বেশ কয়েক দফায় শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও মংলার জেলেদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে এ বাহিনী।

বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় মংলা থানায় র‌্যাবের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৫/আপডেট: ১৩৪৫
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।