ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

থার্টিফার্স্টে নিয়ন্ত্রিত অনুষ্ঠানের পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

শামীম খান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৫
থার্টিফার্স্টে নিয়ন্ত্রিত অনুষ্ঠানের পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঢাকা: ইংরেজি পুরনো বছরকে বিদায় দিতে ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ‘থার্টিফার্স্ট’ রাতে নিয়ন্ত্রিত অনুষ্ঠান করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে দেশের মধ্যে যেন কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকারও কথা বলেছেন তিনি।



সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে এ তথ্য জানা যায়।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, থার্টিফার্স্টের অনুষ্ঠান কর্মসূচি একটি নিয়ন্ত্রিত পরিবেশের মধ্যে যেন উদযাপন হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। কোনো বিশৃঙ্খলা বা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি যেন তৈরি না হয় সে ব্যাপারেও সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমাদের দেশকে নিয়ে দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চলছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব শুধু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নয়। সবাইকেই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার উদ্যোগ নিতে হবে।

তিনি বলেন, থার্টিফার্স্টের অনুষ্ঠান কেবল রাতেই করতে হবে, এমন কথা নেই, দিনেও এ অনুষ্ঠান করা যায়। নিয়ন্ত্রিত কর্মসূচির মাধ্যমে অনুষ্ঠান উদযাপন করতে হবে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী জঙ্গি ধরা পড়া প্রসঙ্গে বলেন, জঙ্গিরা ধরা পড়ছে। নতুন নতুন জঙ্গি নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে। নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। দেশের বাইরের ষড়যন্ত্র আছে, দেশের ভেতরের ষড়যন্ত্রও আছে। দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত চলছে। সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে। আমরা এই ষড়যন্ত্রও মোকাবেলা করবো।

সূত্র আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশি ও আন্তর্জাতিক চক্র নানা প্রকার ছক কেটে কেটে অগ্রসর হচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও রায় কার্যকর করার বিরুদ্ধে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র আছে। আমাদের দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র-চক্রান্তকারীদের অভাব নেই। দেশে-বিদেশে তারা তৎপর। অনেক বড় চাপ উপেক্ষা করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও রায় কার্যকর করা হচ্ছে।

মন্ত্রিসভার সদস্যদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিষয়গুলোকে অবহেলা করবেন না। সতর্ক থাকা সবার দায়িত্ব। সবাই মিলে সতর্ক থাকবেন। আনন্দ-উৎসব দিনের বেলায়ও করা যায়। রাতে আনন্দ করতে গেলে যদি সমস্যা তৈরির আশঙ্কা থাকে তাহলে রাতে না করাই ভালো। কোনো সমস্যা যাতে না হয় এজন্য সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৫/আপডেট: ১৫১৪ ঘণ্টা
এসকে/এইচএ/এমজেএফ

** ভাসমান কৃষির এফএও সনদ হাতে পেলেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।