ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মুক্তিযোদ্ধারা মাসিক ভাতা পাবেন ১০ হাজার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০১৬
মুক্তিযোদ্ধারা মাসিক ভাতা পাবেন ১০ হাজার ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাঙামাটি: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা ১০ হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা পাবেন। অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দেশের যে কোনো হাসপাতালে ওষুধপত্রসহ তাদের বিনা পয়সায় সম্পূর্ণ চিকিৎসা রাষ্ট্রিয়ভাবে বহন করা হবে।



শুক্রবার (১ জানুয়ারি) সকালে রাঙামাটিতে সরকারি সফরকালে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে সকাল ১১টায় রাঙামাটি শহরের তবলছড়িতে এক কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।

এ সময় রাঙামাটির সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার, সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দীপংকর তালুকদার, জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন, পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা ইউনিট কমান্ডার রবার্ট রোনাল্ড পিন্টুসহ রাজনৈতিক নেতা, মুক্তিযোদ্ধা ও সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী।

জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দীপংকর তালুকদার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া মন্ত্রীর সফরসঙ্গী এবং জেলা মুক্তিযোদ্ধা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।    

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক বলেন, মৃত্যুবরণ করা সব মুক্তিযোদ্ধার রাষ্ট্রীয় মর্যাদার পাশাপাশি একই ডিজাইনে তাদের কবর রাষ্ট্রীয়ভাবে নির্মাণ করে দেওয়া হবে- যা দেখে সবাই বুঝতে পারবেন এটা মুক্তিযোদ্ধার সমাধিস্থল। অন্য ধর্মাবলম্বী মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হলেও তাদের নিজ নিজ ধর্ম ও সংস্কৃতির আদলে একই সমাধিস্থল নির্মাণ করে দেবে রাষ্ট্র।

এছাড়া যে কোনো সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা নিশ্চিত করা হবে। পাঠ্যসূচিতে ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও প্রকৃত তথ্য সম্বলিত কাহিনীসহ যুদ্ধাপরাধীদের কর্মকাণ্ড ও ঘটনাবলী সম্পর্কিত সঠিক তথ্য লিপিবদ্ধ করা হবে। আগামী জুলাই থেকে এসব সরকারি উদ্যোগ কার্যকর হবে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব বিষয় বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, সম্প্রতি খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নিয়ে এবং এ দেশীয় দোসরদের সহায়তায় পাক হানাদারদের গণহত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে যে মিথ্যাচার করেছেন তা প্রত্যাহার করে জাতির কাছে তাকে ক্ষমা চাইতে হবে। সেটা হবে বুদ্ধিমানের কাজ। অন্যথায় জাতি কখনও তাকে ক্ষমা করবে না।

মতবিনিময় সভা শেষে নানিয়ারচরের বুড়িঘাটে নির্মিত বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মুন্সী আবদুর রউফের সমাধিস্থল পরিদর্শন করেন মন্ত্রী মোজাম্মেল হক।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৬
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।