ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

খেলনা ট্রেনেই রেল ভ্রমণের স্বাদ

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০১৬
খেলনা ট্রেনেই রেল ভ্রমণের স্বাদ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার): ‘ঝক ঝক ঝক ট্রেন চলেছে/ রাত-দুপুরে ওই/ ট্রেন চলেছে, ট্রেন চলেছে ট্রেনের বাড়ি কই…’ নিজের ছড়ায় ট্রেন নিয়ে শৈশবের স্মৃতিকে এভাবেই তুলে ধরেছেন আধুনিক কবি শামসুর রাহমান।

শৈশবে এই ছড়া পড়ে শিশুদের মনে খেলা করে ট্রেন; মনের কোণে জিইয়ে থাকে ট্রেন ভ্রমণের আগ্রহও।



এর প্রমাণ মেলে কোনো মেলায় কিংবা বিনোদন কেন্দ্রে যখন শিশুরা খেলনা ট্রেন দেখে হুমড়ি খেয়ে পড়ে, তখন। তেমনি একটি বিশেষ ট্রেনের নাম ‘ঢাকা একপ্রেস’।  

দেখতে অনেকটা আসল ট্রেনের মতোই। তবে আকারে বেশ ছোট, বগিও কম। কিন্তু তাতে কী! রেল ভ্রমণ কী আর মনে পোষে রাখা যায়?

ট্রেন বলে কথা; দলে দলে লাইন ধরে ‘স্টেশনে’ দাঁড়ানো ট্রেনে উঠছে শিশুরা। তার পর হৈ-হুল্লোড় করে রেল ভ্রমণ...।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে শেখ রাশেল শিশু উদ্যানে অনুষ্ঠিত বিজয় মেলায় স্থাপিত ট্রেনটি সব শিশুদের নজর কেড়েছে। যা তাদের প্রধান বিনোদন কেন্দ্রেও পরিণত হয়েছে।

প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলছে মেলা। যা আগামী ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে।

ট্রেনের পরিচালক বাবুল খন্দকার বাংলানিউজকে বলেন, ‘শিশুদের বিনোদনের কথা মাথায় রেখে ২০১০ সালে বগুড়ায় এই ট্রেনটি তৈরি করি। যেখানেই যাই, শিশুরা পরম আনন্দে আমার ট্রেনে চড়ে ঘুরে বেড়ায়। যা আমি দারুন উপভোগ করি।

‘শুধু শিশুরাই নয়, তাদের সঙ্গে বাবা-মাসহ অভিভাবকরাও বেশ আনন্দ পান,’ যোগ করেন তিনি। ‍

‘ঢাকা এক্সপ্রেসে’র কারিগরী দিক সম্পর্কে বাবুল বলেন, এ ট্রেনের  যাত্রীবাহী বগি রয়েছে, একটি ইঞ্জিন। আছে একজন চালকও। ষোল ঘোড়ার সেলো ইঞ্জিনের সঙ্গে তিন কিলো জেনারেটর ইঞ্জিন যুক্ত রয়েছে।

‘বৃত্তাকার রেল লাইনে এক সঙ্গে প্রায় চল্লিশ জন যাত্রী আটবার করে ঘুরতে পারেন। এজন্য জন প্রতিজনকে ২০ টাকা করে একটি টিকিট সংগ্রহ করতে হয়। ’

আলাপে জানা যায়, খাগড়াছড়ি, মাদারীপুর, ফরিদপুর, হবিগঞ্জ, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, শেরপুর, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অনুষ্ঠিত অনেক মেলায় বাবুল ছুটে গেছেন তার ট্রেন নিয়ে।

শিশুদের বিনোদন দেওয়ার পাশাপাশি আয়-রোজগার করেই সংসার চালান তিনি।  

শুধু ট্রেনই নয়, নাগরদোলা আর মেরি ঘোড়া-এই তিনটি শিশু আইটেমের পরিচালক তিনি। ট্রেনের সহকারী পরিচালক হিসেবে আছেন তার ছেলে।

বাংলানিউজকে বাবুল জানান, তার অধীনে প্রায় দশ জন কর্মচারী আছেন। এ ট্রেন থেকে তার দৈনিক আয় ছয়/সাত হাজার টাকা। বিবিধ খরচ বাদ দিয়ে দিনে দুই-তিন হাজার টাকা আয় হয় তার।

বাংলাদেশ সময়: ০৬১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৬
বিবিবি/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।