ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মুসা বিন শমসেরকে ফের তলব দুদকের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০১৬
মুসা বিন শমসেরকে ফের তলব দুদকের মুসা বিন শমসের

ঢাকা: সুইস ব্যাংকে ‌‌‌অর্থ আছে কি না তা যাচাই করতে আলোচিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরকে পুনরায় তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (জানুয়ারি ০৪) বিকেলে দুদকের পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী স্বাক্ষরিত একটি নোটিশে তাকে ১৩ জানুয়ারি সকাল দশটায় সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।



এর আগে ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর মুসাকে প্রথমবার জিজ্ঞাসাবাদ করে রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি। ওই জিজ্ঞাসাবাদে সুইস ব্যাংকে তার ১২ বিলিয়ন ডলার অর্থ রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

২০১৫ সালের ৭ জুন দুদকে সম্পদ বিবরণী জমা দেন মুসা বিন শমসের। সম্পদ বিবরণীতেও তিনি সুইস ব্যাংকে তার ১২ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি প্রায় ৯৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, প্রতি ডলার ৭৮ টাকা হিসেবে) জব্দ অবস্থায় থাকার কথা উল্লেখ করেন। এছাড়া সুইস ব্যাংকে ৯০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের (বাংলাদেশি প্রায় ৭০০ কোটি টাকা) অলঙ্কার জমা থাকার তথ্যও দেন তিনি। পাশাপাশি দেশে গুলশান ও বনানীতে দুটি বাড়ি, সাভার ও গাজীপুরে এক হাজার ২০০ বিঘা জমির কথাও সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করেন তিনি।

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৫ সালের ১৯ মে তার বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করে দুদক।

২০১৪ সালের শেষের দিকে ‘বিজনেস এশিয়া’ নামক একটি ম্যাগাজিনের প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে মুসার সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক।

২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর দুদক প্রথম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ওই জিজ্ঞাসাবাদে স্বঘোষিত টাইকুন মুসা বিন শমসের হীরকখচিত বহুমূল্য জুতা থেকে শুরু করে আপাদমস্তক মূল্যবান অলঙ্কারে সজ্জিত হয়ে জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হন। সঙ্গে ছিল অর্ধ শতাধিক নারী-পুরুষ দেহরক্ষীর বহর। এ ঘটনা তখন সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে। মুসা বিন শমসের উঠে আসেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এ সময় তার সম্পদ ও জীবন যাপনের স্টাইল নিয়ে পত্র পত্রিকায় ছাপা হয় নানা মুখরোচক গল্প।

দুদক সূত্র জানায়, সম্পদের ব্যাপারে মিথ্যা তথ্য দিলে মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে সংস্থাটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৬
এডিএ/আরআই

** সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।