ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সরকারের পৃষ্টপোষকতা চায় টাঙ্গাইলের ৫ ক্ষুদে বিজ্ঞানী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৬
সরকারের পৃষ্টপোষকতা চায় টাঙ্গাইলের ৫ ক্ষুদে বিজ্ঞানী ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সরকারের পৃষ্টপোষকতা ও সহযোগিতা পেলে তৈরি করা ড্রোনটি আরও উন্নত করা সম্ভব বলে মনে করছেন ক্ষুদে পাঁচ বিজ্ঞানী। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে আরও অনেক কিছুই করতে পারবে বলেও আশা করছে তারা।

টাঙ্গাঈল: সরকারের পৃষ্টপোষকতা ও সহযোগিতা পেলে তৈরি করা ড্রোনটি আরও উন্নত করা সম্ভব বলে মনে করছেন ক্ষুদে পাঁচ বিজ্ঞানী। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে আরও অনেক কিছুই করতে পারবে বলেও আশা করছে তারা।

 

ড্রোনটি আরও বেশি প্রযুক্তিনির্ভর, আধুনিক ও জনকল্যাণময় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ক্ষুদে ওই পাঁচ বিজ্ঞানী। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান বা সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হয় তাহলে উন্নত মানের ড্রোন তৈরি করা সম্ভব বলে দাবি তাদের।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সরেজমিনে ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় মানুষের ভিড়। অভাবনীয় এই সাফল্য অর্জন করতে পেরে খুশি পাঁচ বন্ধু। সেই সঙ্গে গর্বিত এলাকার সাধারণ মানুষ। তাদের এই সাফল্যকে আরও গতিশীল করতে সরকারের কাছে সহযোগিতার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ক্ষুদে এই পাঁচ বিজ্ঞানী হলো- জেলার গোপালপুর উপজেলার মরতুজ আলীর ছেলে মনিরুজ্জামান তালুকদার হৃদয়, জামালপুরের  সাইফুল ইসরামের ছেলে সজীব, কালিহাতী উপজেলার কস্তুরি পারা গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে সুমন রেজা, মধুপুর উপজেলার গৌঢ়পথ গ্রামের সোহেল রানার ছেলে তৌকির ও জামালপুর জেলার বেড়াপাথালিয়া গ্রামের ওবায়দুল হকের ছেলে ওমর ফারুক।

ওরা ঘনিষ্ট পাঁচ বন্ধু। এরা সবাই ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। কিন্তু তাদের স্বপ্নটা অনেক বড়। দীর্ঘদিন ধরেই তারা চেষ্টা চালিয়ে আসছিল ড্রোন তৈরি করার। অবশেষে তাদের সেই চেষ্টা গত ৫ ডিসেম্বর সফল হয়েছে। ইতোমধ্যেই ড্রোনটি তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠের আকাশে পরীক্ষামূলকভাবে উড়িয়েছে।

ড্রোন তৈরি করা ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের দলনেতা মনিরুজ্জামান হৃদয় জানায়, ড্রোনটির নির্মাণকাজ গত ৫ ডিসেম্বর আংশিক শেষ হয়েছে। বর্তমানে চলছে সেটির উন্নয়নকাজ। ড্রোনটিতে ক্যামেরা স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে।

৯৫০ গ্রাম ওজনের ড্রোনটি তৈরি করতে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এটি ১ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের মালামাল বহন করতে পারে। প্রাথমিকভাবে দেড় কিলোমিটার এলাকায় রিমোর্ট কন্ট্রোলের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল সাহাবউদ্দিন আহাম্মেদ বাংলানিউজকে জানান, অনেক চেষ্টা করে পাঁচ ছাত্র ড্রোনটি তৈরি করেছে এ কারণে আমরা খুবই আনন্দিত। ড্রোনটি আরও উন্নত করার জন্য বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে যে কোন ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৬
পিসি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।