ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখায় নারীকে সংবর্ধনা

উপজেলা করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬
মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখায় নারীকে সংবর্ধনা মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখায় মনোয়ারা বেগমকে সংবর্ধনা

১৯৭১ সালে  মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখায় মোছা. মনোয়ারা  বেগম নামে এক নারীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের কালীবাড়ি গ্রামে তাকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

পাথরঘাটা (বরগুনা): ১৯৭১ সালে  মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখায় মোছা. মনোয়ারা  বেগম নামে এক নারীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।


মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের কালীবাড়ি গ্রামে তাকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।


মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর  সেক্টরের  বুকাবুনিয়া সাব সেক্টরের উপ অধিনায়ক মুক্তিযোদ্ধা জহির শাহ আলমগীর প্রতিষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধা জহির শাহ আলমগীর কল্যাণ ট্রাস্টের আয়োজনে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন তালুকদার। এসময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা জহির শাহ আলমগীর কল্যাণ ট্রাস্ট্রের আহ্বায়ক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহআলম মল্লিক, পাথরঘাটা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমাণ্ডার মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম তালুকদার, মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান মৃধা, মুক্তিযোদ্ধা মির্জা জহুরুল হক, কাঁঠালতলী উইনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, সমাজসেবক রফিকুল ইসলাম কাকন প্রমুখ।


মুক্তিযোদ্ধা মির্জা জহুরুল হক বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আ. লতিফ মিয়ার স্ত্রী মোছা. মনোয়ারা বেগম এ অঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্রসহ খাবার সরবারহ করতেন। এছাড়াও নিজের হাতে মুখোশ বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সরবরাহ করতেন।

পাথরঘাটা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম তালুকদার বলেন, মনোয়ারা বেগমের বাড়িতে ছিল মিনি ক্যান্টনমেন্ট। যেখানে ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়স্থল। এখান থেকেই যুদ্ধের দিক নির্দশনা দেওয়া হতো মুক্তিযোদ্ধাদের।


তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার পরে মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারের কারণে উপঅধিনায়ক মুক্তিযোদ্ধা জহির শাহ আলমগীর দেশ ত্যাগ করেন। আমাদের দাবি তাকে  দেশে এনে ৯ নম্বর সেক্টরের সর্বাধিনায়ক ঘোষণা করা।

মুক্তিযোদ্ধা জহির শাহ আলমগীর কল্যাণ ট্রাস্ট্রের আহবায়ক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহআলম মল্লিক বলেন, মোছা. মনোয়ারার মতো যারা যুদ্ধে অবদান রেখেছেন তাদের স্বীকৃতি দিতে হবে।

তালিকাভুক্ত না হওয়া যোদ্ধাদের তালিকাভুক্ত করার জন্য মুক্তিযোদ্ধা জহির শাহ আলমগীর কল্যাণ ট্রাস্টের আন্দোলন চলতে থাকবে। এছাড়াও আহত, অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য এ সংগঠন কাজ করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।