ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জেলা পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগ ১৪, বিদ্রোহী ১২

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৬
জেলা পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগ ১৪, বিদ্রোহী ১২

দেশের প্রথম জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩৮টি জেলার মধ্যে ২৬টির বেসরকারি ফলাফল জানা গেছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ১৪ জন ও দলটির বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) ১২ জন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।

ঢাকা: দেশের প্রথম জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩৮টি জেলার মধ্যে ২৬টির বেসরকারি ফলাফল জানা গেছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ১৪ জন ও দলটির বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) ১২ জন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।

স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচন নির্দলীয় হলেও চেয়ারম্যান, সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে প্রার্থীদের মনোনয়ন ও সমর্থন দেয় আওয়ামী লীগ। চেয়ারম্যান পদে  বিএনপি ও জাতীয় পার্টি প্রার্থী না দেওয়ায় আওয়ামী লীগ  এবং তার বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
 
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দেশের তিন পার্বত্য জেলা বাদে ৬১টি জেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে একটি জেলায় চেয়ারম্যান পদে আদালতের নির্দেশে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়। চেয়ারম্যান পদে ৬০টির মধ্যে এর আগেই ২২টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। বাকি ৩৮টি জেলায় চেয়ারম্যান পদে ভোটগ্রহণ হয়।
 
চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিতদের নিয়ে বাংলানিউজের স্টাফ, ডিস্ট্রিক্ট ও উপজেলা করেসপন্ডেন্টদের পাঠানো খবর:
 
রংপুর: প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে বড় ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট সাফিয়া খানম। তার প্রাপ্ত ভোট ৭৫২টি এবং একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী জাসদের আব্দুস সাত্তার পেয়েছেন ৩১৯ ভোট। অ্যাডভোকেট সাফিয়া দেশের প্রথম ও একমাত্র জেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে ইতিহাস হয়ে রইলেন।

 

বরিশাল: আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ মইদুল ইসলাম (আনারস প্রতীক) ৯৬৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন।
 
মাগুরা: আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুণ্ডু ২৬৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
 
ঝিনাইদহ: আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কনক কান্তি দাস (চশমা প্রতীক) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
 
সিলেট: আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান (আনারস) ৭৯৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অধ্যক্ষ এনামুল হক সর্দার (কাপ-পিরিচ) পেয়েছেন ৫৫৩ ভোট।
 
লক্ষ্মীপুর: আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক অতিরিক্ত সচিব শামছুল ইসলাম (আনারস) ৫৫৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
 
শরীয়তপুর: আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার নির্বাচিত হয়েছেন। মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৫৩৫ ভোট।
 
কুড়িগ্রাম: ৬৪৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাফর আলী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী পনির উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ২৭৯ ভোট।
 
কুমিল্লা: এক হাজার ২৮১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) আবু তাহের (চশমা প্রতীক)।
 
মৌলভীবাজার: আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আজিজুর রহমান ৩৪২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএম শাহীন আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৮৯টি ভোট।
 
গোপালগঞ্জ: আওয়ামী লীগের প্রার্থী চৌধুরী এমদাদুল হক বেরসকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৯২৩ ভোট।
 
লালমনিরহাট: ৩৭৯ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান (কাপ-পিরিচ প্রতীক)  বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
পাবনা: আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি রেজাউল রহিম লাল বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৬৬১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দলের বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক কামিল হোসেন (মোবাইল প্রতীক) পেয়েছেন ৩০৮ ভোট।
সাতক্ষীরা: আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম দলীয় প্রার্থী মুনসুর আহমেদকে পরাজিত করে জয়লাভ করেছেন।
 
পঞ্চগড়: আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী মো. আমানুল্লাহ বাচ্চু নির্বাচিত হয়েছেন। টেবিল ফ্যান প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ১৩৫ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ৬৫০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) মো. শফিকুল আলম। তার নিকটতম প্রতিন্দ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী সৈয়দ এমদাদুল বারী পেয়েছেন ৫৯৯ ভোট।
 
জামালপুর: ৬০২ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফারুক চৌধুরী (আনারস প্রতীক) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
পটুয়াখালী: আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী খান মোশারেফ হোসেন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৯৩০ ভোট।
 
মেহেরপুর: ১০৭ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম রসুল (আনারস প্রতীক) বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
 
পিরোজপুর: ৪২৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) মো. মহিউদ্দিন মহারাজ। তার নিকটতম প্রতিন্দ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহ আলম পেয়েছেন ৩০২ ভোট।
 
রাজশাহী: আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ আলী সরকার ৭৪২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
 
নড়াইল: ২৯৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস। তার প্রতিন্দ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সৈয়দ আয়ুব আলী পেয়েছেন ২৪৩ ভোট।
 
চাঁদপুর: আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি ওসমান গণি পাটওয়ারী বেসররকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। মোবাইল প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৭৭০ ভোট।
 
চুয়াডাঙ্গা: আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শেখ শামসুল আবেদীন খোকন (মোবাইল) ২৬৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

সুনামগঞ্জ: ৭২৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নূরুল হুদা মুকুট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমন পয়েছেন ৪২০ ভোট।

শেরপুর: আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (মোটরসাইকেল প্রতীক) হুমায়ুন কবীর রুমান ৫৬৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল পেয়েছেন ১৭৬ ভোট।

** জেলা পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগ ১৪, স্বতন্ত্র ১২

বাংলাদেশ সময়: ০০১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৬
এনটি/আরএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।