ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পদ্মাসেতুর সঙ্গে চলছে মুন্সীগঞ্জ-মাওয়া ফোর লেন সড়কের কাজ

সজিব তৌহিদ, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০১৭
পদ্মাসেতুর সঙ্গে চলছে মুন্সীগঞ্জ-মাওয়া ফোর লেন সড়কের কাজ ফোর লেন সড়ক নির্মাণের জন্য মুন্সীগঞ্জ-মাওয়া সড়কের দু’পাশের গাছ কাটা হচ্ছে, ছবি: দীপু মালাকার

মুন্সীগঞ্জ-মাওয়া মহাসড়ক ঘুরে: শীত মৌসুমকে কাজে লাগিয়ে নির্মাণাধীন দেশের সর্ববৃহৎ বহুল আকাঙ্ক্ষিত পদ্মাসেতুর কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। পদ্মার ওই পারে ১১ কিলোমিটার জাজিরা সংযোগ সড়কের কাজ শেষ হয়েছে। আর এ পারে সংযোগ সড়কসহ ফোর লেন সড়কের কাজ চলছে।

শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) মুন্সীগঞ্জ-মাওয়া মহাসড়ক সরেজমিনে ঘুরে ফোর লেন সড়ক নির্মাণে তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়।

ফোর লেনে উন্নীত করার জন্য ইতোমধ্যে সড়কের দু'ধারে গাছকাটা শুরু হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জের বরাইহাজি, নিমতলা, চালতা পাড়া, ছোট শিকরপুল এলাকার মহাসড়কের দু' ধারের গাছ কেটে ফেলে রাখার দৃশ্য চোখে পড়ে। সড়কের পাশ দিয়ে লাল নিশানা দিয়া ফোর লেনের সড়কের সীমানাও চিহ্নত করা হয়েছে।

গাছ কাটায় ব্যস্ত দুই শ্রমিক, দীপু মালাকারসেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে একাধিক ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠানেরর শ্রমিকরা এসব গাছ কাটায় নিয়োজিত রয়েছেন। এরমধ্যে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মো. জাহিদ বাংলানিউজকে জানান, পদ্মাসেতুর জন্য রাস্তা সম্প্রসারণ হবে। ফোর লেন সড়ক নির্মাণের জন্যই মূলত এসব গাছ কাটা হচ্ছে।

গাছ কাটা দলের সরদার চান মিয়া জানান, ১৯টি লটে ৫০ জন শ্রমিক গাছ কাটায় নিয়োজিত। প্রতিদিন প্রায় ১২০টি গাছ কাটা হয়। তার দলে কাজ করেন ১৫ জন শ্রমিক।

এ দফায় মুন্সীগঞ্জের চালতাপাড়া থেকে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত গাছ কাটা হবে বলেও জানান তিনি।

কর্তন করা গাছ ট্রাক যোগে সরানো হচ্ছে, ছবি: দীপু মালাকারকাটা গাছ প্রাথমিকভাবে সড়কের দু'পাশে রাখা হচ্ছে। পরে তা বড়-বড় ট্রাকে করে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় নেওয়া হবে। এমনই এক ট্রাকচালক রুবেল ও হেলপার নূর আলম বাংলানিউজকে জানান, খুব দ্রুতই এখানে রাস্তার কাজ শুরু হয়ে যাবে। আপাতত তারা কাটা গাছ ট্রাক ভর্তি করে অন্য কোথাও সরাতেই ব্যস্ত।

গত আগস্টে রাজধানীর হানিফ ফ্লাইওভার থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ দেশের প্রথম ফোর লেন এক্সপ্রেস ওয়ের নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যা দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সড়ক বলে মনে করা হচ্ছে।

ওই সময় ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক পরিদর্শনে এসে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেছিলেন,  সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ফোর লেন এক্সপ্রেস ওয়ের নির্মাণ কাজ হচ্ছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগেই এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর যে পরিমাণ লোড পড়বে এবং সড়কের প্রয়োজন হবে। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই উন্নতমানের এ সড়ক তৈরি করা হচ্ছে।

সড়কের পাশে গাছ কাটা হচ্ছে তাই সতর্কতার আহ্বান, ছবি: দীপু মালাকারএকদিকে পদ্মাসেতু নির্মাণের মহাযজ্ঞ। অন্যদিকে পদ্মার দু'পারে ফোর লেন সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে এগিয়ে। একই সঙ্গে পদ্মার মাওয়া অংশে জাদুঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা নিমার্ণ ও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ চলছে। পদ্মার ওই পারে জাজিরা সংযোগ সড়কের পাশে নাও ডোবা এলাকায় নির্মিত হচ্ছে অত্যাধুনিক ভবন, সুইমিংপুল ও বিভিন্ন স্থাপনা।

সব মিলিয়ে অপেক্ষা, উত্তেজনা আর বহুল আলোচিত স্বপ্নের পাদ্মাসেতু বাস্তবায়ন এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

আরও পড়ুন...

পদ্মাসেতুর ১১ কিমি জাজিরা সংযোগ সড়ক প্রস্তুত

** সোনালী স্বপ্নের স্বর্ণরঙা সেতু আর নয় বেশি দূর

** পাথর ভাঙ্গার শব্দে স্বপ্ন বুনন পদ্মায়

** স্বপ্ন সেতুর আলিঙ্গনে!

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৭

টিআই/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।