ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বুড়িগঙ্গা দখলমুক্ত করতে ধীরগতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০১৭
বুড়িগঙ্গা দখলমুক্ত করতে ধীরগতি বুড়িগঙ্গা দখলমুক্তের কাজে ধীরগতি, ছবি- দীপু

ঢাকা: দখল ও দূষনের প্রভাবে রাজধানী ঢাকার প্রাণ বুড়িগঙ্গা নদী নিজেই প্রাণ হারিয়েছে অনেক আগে। দখলমুক্ত করতে বিভিন্ন সময়ে কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন উদ্যোগও শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি অজানা কারণে।

ইসলামবাগ এলাকায় নদীর চাঁদনীঘাট এলাকা থেকে দখলকৃত মাটি অপসারণ কাজ শুরু হয়েছে গত ২২ ডিসেম্বর। কাজ শুরু হওয়ার ১২ দিন পার হলেও দৃশ্যমান অগ্রগতি খুবই সামান্য।

বিআইডব্লিউটিএ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে এ কাজ চলছে।

বৃহস্পতিবার (০৫ জানুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, বিআইডব্লিউটিএ'র একটি মাটিকাটার যন্ত্র (ভেকু) দিয়ে নদীর ভেতরের দখলকৃত অংশের মাটি কেটে ট্রাকে তোলা হচ্ছে। পরে ট্রাকে করে গাবতলীতে সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত জায়গায় নিয়ে ফেলা হচ্ছে।

এ কাজের তত্ত্বাবধানে থাকা বিআইডব্লিউটিএ'র কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের কাজ মাটি কেটে দেওয়া। আর ওই মাটি ট্রাকে করে ফেলার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। আর এখানে আমাদের সংকট পর্যাপ্ত ট্রাকের। আমাদেরকে মাত্র চারটি ট্রাক দেওয়া হয়েছে। একটি ভেকু দিয়ে মাটি কাটা হলেও এটাকেই ঠিকভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছেনা। একবার ট্রাক ভরে দিলে আবার ট্রাক আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।
বুড়িগঙ্গা দখলমুক্তের কাজে ধীরগতিএ বিষয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বিআইডব্লিউটিএ যদি আমাদের কাছে আরো ট্রাক চায় তাহলে আরো দেওয়া হবে।

তবে মনিরুল ইসলাম জানান, আপাতত নিজেদের তত্ত্বাবধানে এ কাজ চললেও বাজেট পেলে এ কাজের জন্য টেন্ডার ডাকা হবে। তখন কাজে গতি আসবে।

তিনি বলেন, যে জায়গা থেকে মাটি তোলা হচ্ছে সেখানে নদীর সীমানা থেকে প্রায় ৫০ ফুট নদীর ভেতরে আর পানির নিচ থেকে পায় ৬০ ফুট উঁচু পর্যন্ত মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। মাটি দিয়ে আস্তে আস্তে ভরাট করে এখানে গাছ লাগানো হয়েছিল। আমরা বড় বড় অনেকগুলো গাছ তুলেছি এখান থেকে। আর এভাবে কাজ চলতে থাকলে সেটা অনেক সময় সাপেক্ষ।

বুড়িড়ঙ্গার বিষাক্ত পানিতে চলাচল করছে নৌকা

প্রথম অবস্থায় চাঁদনী ঘাট থেকে বছিলা এলাকার সিকদার মেডিকেল কলেজ পর্যন্ত নদীর অংশটুকু দখলমুক্ত করা হবে বলে জানান তিনি।

দখলমুক্ত করতে কেউ বাধা দিয়েছে কিনা জনতে চাইলে তিনি বলেন, না কেউ বাধা দেয়নি বরং স্থানীয়দের অনেকে ভালোই উৎসাহ দিয়েছেন।

নদী ভরাট প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা সবুজ মিয়া বলেন, এটা দু-একদিনে হয়নি। গত ১০-১২ বছর ধরে আস্তে আস্তে আবর্জনা, মাটি, বাড়ির ভাঙ্গা অংশ ফেলে এভাবে ভরা হয়েছে। তবে কে বা কারা এভাবে দখল করেছে সেটা দেখা যায়নি। বেশিরভাগ সময় রাতের বেলা ট্রাক-ভ্যানে করে এসব ভরা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৬
পিএম/এমএইচকে/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।