আটককৃতরা হলেন দৌলত জামান ওরফে মোয়াজ আল বাঙালি (৩৫) ও সোহেল হাওলাদার ওরফে বেলাল হাফসী আল বাঙালি (২৭)।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) দিবাগত রাতে র্যাব-৩ এর একটি দল তাদের আটক করে।
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমরানুল হাসান বাংলানিউজকে জানান, তারা দু'জনই সিঙ্গাপুর প্রবাসী শ্রমিক। এদের মধ্যে দৌলত জামান ২০০৪ সালে ও ২০০৯ সালে সোহেল সিঙ্গপুরে যায়। সেখানে মিজানুর রহমান নামে একজনের মাধ্যমে তারা জেএমবির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়। ২০১৫ সাল থেকে তারা সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত শ্রমিকদের মধ্যে গোপনে দাওয়াত কার্যক্রম পরিচালনা করে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করতো। মূলত কর্মী সংগ্রহ করা ও অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ কর্যক্রম পরিচালনা করাই ছিলো তাদের মূল উদ্দেশ্য।
তাদের টার্গেট ছিলো সেখান প্রশিক্ষণ নিয়ে বাংলাদেশে এসে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিচারক, নাস্তিক ব্লগার, নৃ-গোষ্ঠিদের লক্ষ্য করে নাশকতা চালাবে। তাদের গ্রুপে আটজন সদস্য সক্রিয় ছিলো। তারা সিঙ্গাপুরে চারটি গোপন বৈঠক করেছিলো বলে স্বীকার করেন।
তিনি বলেন, ২০১৬ সালের ২৫ শে মার্চে মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ওয়াটার ফ্রন্ট পার্কে সর্বশেষ গোপন বৈঠক করেছিলো। সেখানে সবাই মিলে মিজানুরের বায়াত গ্রহণ করে ও শপথ করে যে জঙ্গিবাদ কার্যক্রম করবে। এ কাজে তারা নিয়মিত চাঁদা দিতো। ওই বছরের এপ্রিল মাসে তারা সিঙ্গাপুর সরকারের নজরদারিতে ধরা পড়ে। দীর্ঘ দেড় বছর সাজা শেষ দৌলত জামান ও সোহেল ছাড়া পায়। মিজান তাদের নেতৃত্বে থাকায় এখনো জেলে রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গত ২৬ সেপ্টেম্বর তারা বাংলাদেশে ফিরে আসে। দেশে প্রবেশের পর থেকে এদের উপর র্যাবের নজরদারি ছিলো। কঠোর নজরদারি করে দেখা যায় তারা এখনো আগের মতাদর্শে রয়েছে এবং বাংলাদেশে জঙ্গি কার্যক্রম চালাতে চায়। পরে শনিবার রাতে তাদের সবুজবাগ এলাকা থেকে আটক করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৭
পিএম/এএটি