সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে ১ নং আমলি আদালতের বিচারক মাসুদুল হকের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সন্ধ্যায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, কোতোয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রোকন ইসলাম খান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে অপহরণের ৭ দিন পর গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে নগরীর বাঘমারা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে কিশোর জাহাঙ্গীরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জাহাঙ্গীরের দাদী জোসনা বেগম জাতীয় পার্টির সহযোগী সংগঠন জেলা স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি হোসেন আলী, তার দুই ছেলে রিপন ও আর এম রাসেলকে আসামি করে কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে রিপন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরবর্তীতে এ মামলার অন্যতম আসামি আলমগীর (২০) পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। পরে পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তবে হত্যাকাণ্ডের প্রধান দুই আসামি হোসেন আলী ও তার ছেলে আর. এম. রাসেলকে রহস্যজনক কারণে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ, এমন অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী জোসনা বেগম।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৭
এমএএএম/এমজেএফ