শনিবার (২১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মধ্যবাড্ডা, আবুল হোটেল, মালিবাগ, রাজারবাগ পুলিশ লাইন, মৌচাক, কাকরাইল, শান্তিনগর, বংশাল রোড ও সদরঘাট ঘুরে জলবদ্ধতার এমনই চিত্র দেখা যায়।
আবুল হোটেলের সামনে কথা হয় প্রাইভেটকার চালক রফিকের সঙ্গে।
একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে যাওয়া এই যন্ত্রণা আর ভালো লাগে না বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
মালিবাগ রেললাইনে গাড়ির অপেক্ষায় থাকা নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, হাঁটু সমান পানি, গাড়িও দাঁড়ায় না, রিকশাও পাওয়া যায় না। আর পাওয়া গেলেও ২০ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা। সাত সকালে অফিসে যেতে এই ভোগান্তি কবে যে শেষ হবে। ঢাকার শহর আর ভালো লাগছে না।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কথা হয় রিকশা চালক বশির উল্লাহর সঙ্গে। তিনি বলেন, রাতভর বৃষ্টি। অলিতে গলিতে পানি জমে গেছে। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে যেতে হলে ভাড়া দ্বিগুণ দিতে হবে। একদিকে বৃষ্টি অন্যদিকে রাস্তায় পানি বেশি ভাড়া না দিলে যাবে না। বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়া দিয়েই রিকশায় চড়তে হলো।
এদিকে জলবদ্ধতার কারণে রাজারবাগ পুলিশ লাইন ও মালিবাগে তৈরি হয়েছে যানজট। রাস্তার ওপর হাঁটু সমান পানিতে একলাইন ধরে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যানবাহনগুলো।
দিনটাই আজ খারাপ যাবে মন্তব্য করে সুপ্রভাত সিটিং সার্ভিসের চালক হামিদুর বাংলানিউজকে বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটু সমান পানি। এভাবে কি আর গাড়ি চালানো যায়? আর গাড়ি চালালেও ইঞ্জিন কি আর বেশিদিন ভালো থাকে। মালিকও লোকসান আমাদেরও অনেক কষ্ট হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১,২০১৭
এসজে/জিপি