শুক্রবার (২০ অক্টোবর) ছুটির দিন থাকায় মানুষের ভোগান্তি তুলনামূলক কম থাকলেও শনিবার (২১ অক্টোবর) সকাল থেকেই বিরামহীন বৃষ্টিতে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েন স্কুল,কলেজ ও অফিসগামী সাধারণ মানুষ।
শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে পুরান ঢাকার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে বিরামহীন বৃষ্টিতে রাস্তায় রয়েছে রিকশা, সিএনজিসহ অন্যান্য গণপরিবহন সঙ্কট।
এছাড়া পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার, বংশাল মোড়, ওয়ারী, ধোলাইখাল, মুরগীটোলাসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় রয়েছে হাঁটু সমান পানি। কোথাও কোথাও রাস্তা ডোবার পর ড্রেনের ময়লা পানি আবর্জনা সমেত ঢুকে সয়লাভ হয়েছে আশাপাশের দোকানগুলো।
তবে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন পুরাণ ঢাকার ব্যাবসায়ীরা ও এসব এলাকায় কাজ করা নিম্ন আয়ের মানুষেরা। সকাল গড়িয়ে দুপুর হতে চললেও এখনো খুলেনি এখানকার বেশিরভাগ দোকান-পাট। যেগুলো খোলা হয়েছে সেগুলোতেও নেই কোনো ক্রেতা। ফলে দোকান খুলেও হাত-পা গুটিয়ে বৃষ্টি ঝরা দেখছেন ব্যাবসায়ীরা। দোকানে বিক্রি না থাকায় কাজ নেই এসব দোকানপাটে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে চলা সীমিত আয়ের মানুষেরা।
এছাড়া এই এলাকার লৌহসামগ্রীর ব্যাবসায়ীরা রয়েছেন বেশ বিপাকে। বৃষ্টির পানি ঢুকছে তাদের দোকানে। ফলে লোহা, ষ্টীলের এসব যন্ত্র ও শীটে মরিচা পড়ে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
ধোলাইখাল টং মার্কেটের ব্যাবসায়ী আতিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বৃষ্টির কারণে বেচাকেনা একদমই নেই। ব্যবসা লাটে উঠেছে। গতকাল সাপ্তাহিক বন্ধের পর আজকে কোনো বেচাবিক্রি না থাকায় দিগুণ ক্ষতিতে পড়তে হবে।
অপরদিকে ধোলাইখাল এলাকায় ঠেলাগাড়ি চালক কাজল মিয়া আক্ষেপের সুরে বাংলানিউজকে বলেন, ঠেলাগাড়ি চালিয়ে কয় টেকাই আর পাওয়া যায়! তারপরেও সারাদিন ঠেলা চালিয়ে যে কয় টাকা পাই সেটা দিয়া দুই মেয়ে নিয়ে চলি। গত দু’দিন ধরে বৃষ্টি পড়তেছে। কোনো কাজ নেই কিভাবে চলবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৭
ডিআর/বিএস