২২ দিন পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশসহ সব মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর সোমবার (২২অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এমন চিত্র ছিলো রূপালী ইলিশের রাজধানী নামে খ্যাত চাঁদপুর বড় স্টেশন মৎস্য আড়তে। শত শত শ্রমিক আর আড়তের ব্যবসায়ীরা ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে এখন মহা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
চাঁদপুর মৎস্য আড়তে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, সকাল ৮টা থেকেই আড়তে ইলিশ আমদানি শুরু হয়। প্রতি জেলে নৌকা কমপক্ষে ৫ থেকে ৭ মন ইলিশ নিয়ে আসছে। ছোট-বড় সব নৌকাতেই শুধু ইলিশ আর ইলিশ। তবে রূপালী ইলিশের চেহারাই আলাদা। সাগর থেকে মিঠা পানিতে ইলিশের আগমন ঘটলে পাল্টে যায় রূপ। মাছের আমদানি থাকলে বন্ধ হবে না আড়ৎ। ২৪ ঘণ্টা চলবে ক্রয়-বিক্রয়।
মৎস্য ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বেপারী বাংলানিউজকে বলেন, সকাল ৮টায় আড়তে এসেছি। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত একই স্থানে বসে কাজ করছি। কোনদিকে যাওয়া কিংবা কারো সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছি না। যে পরিমাণ ইলিশ আসছে, আমরা কল্পনাও করিনি। আজকে ইলিশের দামও যাচ্ছে কম। ১ কেজি ওজনের ইলিশ ১১শ’ টাকা, ৭শ’ থেকে ৮শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৮শ’ টাকা, ৫শ’ থেকে ৬শ’ গ্রাম সাড়ে ৬শ টাকা, ছোট সাইজের ইলিশ ৩শ’ থেকে সাড়ে ৪ শ’ টাকা।
আরেক মৎস্য ব্যবসায়ী মো. সেকান্দর পাটওয়ারী বলেন, ২২ অক্টোবর দিবাগত রাত ১২টার পর থেকেই জেলেরা নদীতে নেমেছেন। ৬ থেকে ৭ ঘণ্টার মধ্যেই জেলেদের নৌকা ইলিশে টই টুম্বর। সকাল ৭টায় মাছঘাটে ইলিশের নৌকা নিয়ে হাজির জেলেরা। তবে যে পরিমাণ ইলিশ এখন আমদানি হচ্ছে তা স্থায়ী নাও হতে পারে। কারণ দক্ষিণাঞ্চলে ইলিশ আহরণ শুরু হলে উজানে কমতে থাকে।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সফিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সন্ধ্যায় আমি নিজেই ইলিশ কেনার জন্য মৎস্য আড়তে গিয়েছি। বরফ না থাকায় আজকে ইলিশের খুচরা মূল্য অনেকটা কম। তবে কাল থেকে বরফ মিলগুলো চালু হলে দাম বেড়ে যাবে। আড়তে মাঝারি সাইজের ইলিশের আমদানিই বেশি। ইলিশের আমদানির কারণে সরগরম হয়ে উঠছে আড়ৎ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, ২৩ অক্টোবর, ২০১৭
আরএ