সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে কক্সবাজারে বাংলানিউজ আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা সংকট, বাস্তবতা ও পরিকল্পনা' শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেন।
কক্সবাজার জেলার উখিয়া, টেকনাফে এরইমধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, ভেঙে পড়েছে উল্লেখ করে আবুল কালাম বলেন, এলাকার অনেক স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখতে হয়েছে।
মিয়ানমার থেকে আসা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা ৫ হাজার একর জায়গায় ছাড়িয়ে পড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, একটি শহর গড়তে শতবছর লাগে। এই ১০ লাখ মানুষ রাখা কষ্টসাধ্য হবে।
‘১০ লাখ রোহিঙ্গার জন্য সাত হাজার ল্যাট্রিন ও ৩৫ হাজার নলকূপ লাগবে। এরমধ্যে ৫ হাজার ল্যাট্রিন ও কয়েক হাজার নলকূপ বসানো হয়েছে। এতে পানির স্তর নিচে নেমে যেতে পারে। ফলে স্থানীয়দের পানি সংকট তৈরি হতে পারে। এছাড়া জ্বালানি হিসেবে কাঠ পোড়াচ্ছে। বন উজাড় হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়’।
বাংলানিউজের এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম ব্যুরো এডিটর তপন চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
গোলটেবিল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন- কক্সবাজার সদর আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী আব্দুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, ট্যুরিস্ট পুলিশ জিল্লুর রহমান, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মাদ আব্দুল কালাম, কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম ফজলুল করিম চৌধুরী, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের প্রমুখ।
রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থানে ক্ষতিতে পড়বে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৭
এমইউ/এমএ/জেডএস