ট্রেনের যাত্রীরা প্রতিদিন এভাবে হারাচ্ছেন তাদের মূল্যবান সম্পদ। আর সুন্দর দৃশ্য ধারণ করতে গিয়ে ছিনতাইকারীর ছোবলে মোবাইল হারাচ্ছেন অনেকে।
এমন ভয়াবহ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেনে। যদিও খোদ রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছেন, ‘এ অভিযোগের সঙ্গে আমি একমত না। কোথাও ছিনতাই হয় না ট্রেনে। ’
আর রেলওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টারের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ আবুল কাশেম বলেন, ‘এটা নিয়ে কথা বলতে হলে আমার অফিসে আসতে হবে। তার আগে এপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। ’
রেলমন্ত্রী ও রেল পুলিশ প্রধান এ বিষয়ে না জানলেও যাত্রীদের মূল্যবান জিনিস খোয়ানো থেমে নেই। নিরাপদ যাত্রার বাহন হিসেবে বিবেচিত ট্রেনের এমন ঘটনায় মুষড়ে পড়ছেন যাত্রীরা। ঘটনার পরপর তারা রেল পুলিশের কোন সহায়তা পাচ্ছেন না।
নিয়মিত ট্রেন ভ্রমণ করেন এমন যাত্রীরা জানান, পুলিশ বন্দুক নিয়ে শুধু ট্রেনের ভেতর ঘোরাফেরা করেন। কেবিনের আসন খালি পেলে দখল করে ঘুমিয়ে পড়েন। কখনো টিকিট ছাড়া যাত্রীর কাছ থেকে টাকা আদায় করে পকেটে ভরে নেন।
কিভাবে ট্রেনের যাত্রীর মোবাইল ও জিনিসপত্র ছিনতাই হয় তার একটি দৃশ্য বাংলানিউজে পাঠিয়েছেন সৌখিন ফটোগ্রাফার ও রেলফ্যান সৌমেন ধর। গত সপ্তাহে ঢাকা থেকে সিলেট যাবার পথে পারাবত ট্রেনে শ্রীমঙ্গলে প্রবেশ মাত্র তিনি যে ছবি তুলেছেন, তাতে দেখা গেছে, ধারালো দা হাতে একজন দাঁড়ানো। ট্রেনের জানালা দিয়ে যারা মোবাইলে চা বাগানের ছবি তুলছেন তাদের টার্গেট করছে তারা।
এভাবে রেলে যাত্রাপথে ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছে অসংখ্য যাত্রী। দায়ের কোপে হাতও কাটা পড়ছে কারো কারো।
তানভির রহমান নামে একজন জানান, গত জানুয়ারিতে সোনার বাংলায় এক নারীর মোবাইল টান দিয়ে নিতে ব্যর্থ হয় ছিনতাইকারীরা। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই টান দিয়ে অন্য এক নারীর ব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে যায়। এ ঘটনা ট্রেনে টহলরত পুলিশকে জানানো হলে তারা বললো, জানালা লাগিয়ে রাখুন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৭
এসএ/জেডএম