ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

মামলার ৩ ঘণ্টা পর চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৭
মামলার ৩ ঘণ্টা পর চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার বরিশাল জেলা পুলিশের সংবাদ সম্মেলন

বরিশাল: মামলা দায়েরের ৩ ঘণ্টার মধ্যে বাস থেকে চুরি হওয়া এক প্রবাসীর পাসপোর্ট, ভিসা ও মালামাল উদ্ধার করেছে বরিশাল জেলা পুলিশ। চুরি ও চাঁদাবাজির ঘটনার সাথে জড়িত দুজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে বরিশাল পুলিশ লাইন্স ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ খবর জানানো হয়।

গ্রেফতাররা হলেন, মাদারীপুরের কালকিনি থানাধীন দক্ষিণ রঞ্জনপুর এলাকার মৃত আলাউদ্দিন বেপারীর পুত্র মো. জালাল বেপারী (৩০) ও বরিশালের গৌরনদী মডেল থানাধীন টরকী বন্দর এলাকার সেকান্দার আলী মৃধার পুত্র মো. সোহাগ মৃধা (২৮)।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোল্লা আজাদ হোসেন জানান, গত ১৭ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়া থেকে তিন মাসের ছুটিতে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার লেঙ্গুটিয়া গ্রামের ইউনুস হাওলাদার বাংলাদেশে আসেন।  

বেলা সাড়ে ৩টায় একটি বাসযোগে তিনি বরিশালের গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে তার সাথে থাকা ব্যাগটি না দেখে চিৎকার শুরু করেন।

পাশেরই একজন যাত্রী তাকে জানান বাসের অপর এক যাত্রী ওই ব্যাগ নিয়ে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে নেমে গেছেন। ব্যাগের ভেতর ৪৭৭৫ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত (বাংলাদেশি টাকায় ৯৫ হাজার ৫০০), এক ভরি ওজনের দুটি স্বর্ণের চেইন, একজোড়া কানের দুল, তিনটি স্যামসাং ইনটেক মোবাইল ফোন সহ সর্বমোট দুই লাখ ৭ হাজার ৯শ’ টাকার মালামাল, মালয়েশিয়ান ভিসা, পাসপোর্ট এবং বিমানের অগ্রিম টিকিট ছিলো।

এরপরে গত ১০ অক্টোবর অপরচিত মোবাইল নম্বর থেকে চুরি হওয়া জিনিসগুলো পেতে হলে ৫ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়। পরবর্তীতে একইভাবে আরও ৩ হাজার টাকা চাওয়া হয়।  

দুইবারে ৮ হাজার টাকা দেয়ার পর তৃতীয়বার ৫০ হাজার টাকা দাবি করলে তখন প্রবাসী ইউনুস হাওয়লাদার সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে সাড়ে ৫টায় গৌরনদী থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের ৩ ঘণ্টা পর আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বরিশালের জেলা গোয়েন্দা পুলিশ গৌরনদী উপজেলার টরকি বন্দর এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেফতার করে। একই সঙ্গে তাদের কাছ থেকে চুরি হওয়া পাসপোর্ট, ভিসা ও বিমানের রিটার্ন টিকিট উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রফতারকৃতরা যে সিম ও মোবাইল দিয়ে চাঁদা দাবি ও আদায় করেছে তাও উদ্ধার করা হয়েছে।

অভিযানে জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক মো, জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম কাজ করে।

এদিকে চোর ও প্রতারক চক্রের অন্যান্য সদস্যসহ মূল হোতাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে, পাশাপাশি চুরি হওয়া অন্যান্য মালামাল ও উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৭
এমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।