ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

পাঁচ মামলায় আপন জুয়েলার্সের তিন মালিক কারাগারে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৭
পাঁচ মামলায় আপন জুয়েলার্সের তিন মালিক কারাগারে দিলদার আহমেদ সেলিম, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদ (ফাইল ফটো)

ঢাকা: অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের পাঁচটি মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক তিন সহোদর দিলদার আহমেদ সেলিম, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

তিন সহোদর আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানালে তা নামঞ্জুর করে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার পৃথক চারটি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত।  

মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে- গুলশান থানার দু’টি (নং- ১৫ ও ১৬), ধানমণ্ডি থানার একটি (নং- ১০), রমনা থানার একটি (নং- ২৭) এবং উত্তরা থানার একটি (নং- ১৭)।

প্রায় ১৫ মণেরও বেশি স্বর্ণালঙ্কার ও হীরা এবং নগদ অর্থ জব্দ করার ঘটনায় বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় গত ১২ আগস্ট আপন জুয়েলার্সের মালিকদের বিরুদ্ধে অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা পাঁচটি দায়ের করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।

অর্থপাচার প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) এর ধারা ২ (ঠ) এবং কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯ এর ধারা ১৫৬(৫) অনুসারে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা এম আর জামান বাঁধন, বিজয় কুমার রায়, মো. শাহরিয়ার মাহমুদ, মোহাম্মদ জাকির হোসেন এবং মো. আরিফুল ইসলাম মামলাগুলো করেন।

এর আগে গত ০৮ জুন তাদের বিরুদ্ধে শুল্কফাঁকির অভিযোগে ঢাকা কাস্টমস হাউজে আরও পাঁচটি বিভাগীয় মামলা করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে- দিলদার আহমেদ সেলিমের নামে তিনটি, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের নামে একটি করে মামলা।

এছাড়া তাদের জুয়েলার্সের স্বর্ণ কেন বাজেয়াপ্ত করা হবে না, সে বিষয়ে জানতে তখন কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয় কাস্টমসের পক্ষ থেকে।

জব্দ স্বর্ণ ফেরত চেয়ে গত ০১ আগস্ট হাইকোর্টে পৃথক পাঁচটি রিট করেছিল আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ। জুয়েলার্সের আইনজীবী প্যানেল রিটের শুনানির জন্য আবেদন উপস্থাপন করলে আদালত বিব্রতবোধ করে সেগুলো কার্যতালিকা থেকে বাতিল করে দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৭
এমআই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।