ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বাগেরহাটে ৭২ হাজার নিরক্ষরকে স্বাক্ষর করবে সরকার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৭
বাগেরহাটে ৭২ হাজার নিরক্ষরকে স্বাক্ষর করবে সরকার

বাগেরহাট: বাগেরহাটের চার উপজেলার ৭২ হাজার নিরক্ষর লোককে স্বাক্ষর জ্ঞানসহ জীবনমুখি মৌলিক শিক্ষা দেবে সরকার।

উপজেলাগুলো হলো-চিতলমারী, কচুয়া, মোল্লাহাট, মোংলা। প্রতি উপজেলায় সুযোগ পাবে ১৮ হাজার নিরক্ষর।

এদের মধ্যে ৯ হাজার পুরুষ ও ৯ হাজার নারী।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর তত্ত্বাবধায়নে মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্প (৬৪ জেলা) নামক একটি প্রকল্পের মাধ্যমে এদের শিক্ষাদান করা হবে। বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে মাঠ পর্যায়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় এনজিও।

বাগেরহাটের চার উপজেলায় কাজ করবে চারটি স্থানীয় এনজিও। কচুয়ায় হেলপ, চিতলমারীতে শাপলাফুল, মোল্লাহাটে দিপ্তি বাংলাদেশ এবং মোংলায় উদয়ন বাংলাদেশ।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি উপজেলায় ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ১৮ হাজার নিরক্ষর মানুষকে জীবনমুখি শিক্ষার মাধ্যমে স্বাক্ষরতা দেয়া হবে। এদের স্বাক্ষর করতে প্রতি উপজেলায় ৩শ’ শিক্ষা কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। শিক্ষা কেন্দ্রের জন্য সুবিধামত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষ ব্যবহার করা হবে। যেসব এলাকায় সুবিধামত জায়গায় প্রাথমিক বিদ্যালয় পাওয়া যাবে না। সেখানে এনজিওগুলো কেন্দ্রের ব্যবস্থা করবে। সেক্ষেত্রে তারা ৫শ’ টাকা করে ভাড়া পাবে। প্রতি কেন্দ্রে শিক্ষক থাকবে দুইজন। পুরুষদের জন্য পুরুষ এবং নারীদের জন্য থাকবে নারী শিক্ষক।

শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের সুবিধামত সময়ে প্রতি ব্যাচকে দুই ঘণ্টা করে শিক্ষা দেবে। শুক্রবার বা সপ্তাহের সুবিধামত দিনে একদিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে। শিক্ষার্থীদের আমাদের চেতনা ১ম ও ২য় খণ্ড পড়ানো হবে। শিক্ষকদের যোগ্যতা হবে সর্বনিম্ন এসএসসি পাশ। প্রতি মাসে তারা সম্মানি হিসেবে পাবেন ১২শ’ টাকা করে। শিক্ষকদের কাজ দেখভালের জন্য সুপারভাইজার নিয়োগ করা হবে। সুপারভাইজারদের যোগ্যতা হবে সর্বনিম্ন এইচএসসি পাশ। প্রতি মাসে তারা সম্মানি পাবেন ২ হাজার টাকা করে এবং ভ্রমণভাতা পাবেন ৫শ’ টাকা করে।

শিক্ষক ও সুপারভাইজার নিয়োগ দেবে উপজেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কমিটি।

ইতোমধ্যে মোংলা উপজেলায় শিক্ষার্থী বাছাইয়ে প্রাথমিক জরিপের কাজ শুরু করছে উদয়ন বাংলাদেশ।

এ প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিটরিং, পরামর্শ দেয়া ও নিয়মিত কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।

উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো বাগেরহাটের উপ-পরিচালক অগ্রোজ কুমার রায় বলেন, সরকারি হিসেব মতে আমাদের দেশে নিরক্ষর জনগোষ্ঠির সংখ্যা ৩ কোটি। এ বিপুল সংখ্যক নিরক্ষর জনগোষ্ঠিকে জীবনমুখি শিক্ষাদানের মাধ্যমে স্বাক্ষর করতে সরকার চেষ্টা করছে। সেই ধারাবাহিকতায় মৌলিক স্বাক্ষরতা (৬৪ জেলা) প্রকল্পের আওতায় বাগেরহাটে ৭২ হাজার নিরক্ষরকে স্বাক্ষর করা হবে।

শিক্ষা দেয়ার পরে এদের আমরা ফলোআপে রাখব। সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কর্মমুখি ট্রেডে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়ার চেষ্টা করা হবে। জীবনমুখি শিক্ষা গ্রহণকারী নাগরিকরা প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ ও ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, ২৪ অক্টোবর, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।