মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার পৌর শহরের হাসপাতাল সড়কের অ্যাডভোকেট মাইনুল আহসান বিপ্লব তালুকদারের বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বরগুনা সদর উপজেলার গুদিঘাটা গ্রামের মো. মন্নান খানের মেয়ে মালার সঙ্গে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আবদুল লতিফ খানের ছেলে আলমগীর হোসেন পলাশের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
২২ অক্টোবর (রোববার) সন্ধ্যায় পলাশ প্রেমিকা মালাকে নিয়ে আমতলী তার (পলাশ) আত্মীয় বিপ্লবের বাসায় বেড়াতে আসেন। তিনদিন ধরে তিনি এ বাড়িতে অবস্থান করেন।
মঙ্গলবার মালা পলাশকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়। কিন্তু পলাশ এতে রাজি হয়নি। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দুপুরে পলাশ মালাকে বটি দিয়ে কুপিয়ে সাত টুকরো করে হত্যা করে। এসময় ওই বাসায় কেউ ছিল না। পরে সাত টুকরো করা মরদেহ ওই বাসার বাথরুমের মধ্যে দু’টি ড্রামে ভরে রাখেন।
এ ঘটনা ঘটিয়ে পলাশ আত্মীয় বিপ্লবকে জানায়। বিপ্লব কৌশলে পলাশকে বাসায় আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘাতক পলাশকে আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্য মতে বাথরুমে দু’টি ড্রামে ভরা খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার বিজয় বসাক ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
ঘাতক পলাশ ঘটনার সত্যতা পুলিশের কাছে স্বীকার করে বলেন, সপ্তম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় আমি মালার সঙ্গে প্রেম করে আসছি। মালার বাবা-মা ঢাকা থাকে। মালার লেখাপড়ার খরচ আমি চালাই। রোববার বিয়ে করার জন্য মালাকে নিয়ে আমতলী আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে আসি। মঙ্গলবার সকালে মালা আমাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। আমি বিয়ে করবো বলে মালাকে আশ্বস্ত করলেও তা মানতে রাজি না। একপর্যায় আমি ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরে থাকা বটি দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করি। এসময় বাসায় কেউ ছিল না।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদ উল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। ঘাতক পলাশকে আটক করা হয়েছে। পলাশ ঘটনার সব সত্যতা স্বীকার করেছেন।
বরগুনার পুলিশ সুপার বিজয় বসাক বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৭
আরবি/