ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৭
কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

সিরাজগঞ্জ: কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি রিয়াদ হোসেনের (২৫) বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে ভিকটিমের মামা বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন। ধর্ষণে সহযোগিতা এবং ভিকটিমকে মারধরের অভিযোগে মামলায় রিয়াদের পাঁচ সহযোগিকেও আসামি করা হয়।

 

রিয়াদ জেলার বেলকুচি উপজেলার চর খাসিয়া গ্রামের রকিব উদ্দিন মাস্টারের ছেলে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বেলকুচি পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক চর চালা মহল্লার মিন্টু কসাইয়ের ছেলে আরমান (২৬), কলাগাছি গ্রামের মো. মমিন শেখের ছেলে পিচ্চি রতন (২৪), গাড়ামাসি গ্রামের নিমাই ডাক্তারের ছেলে পাপ্পু, চর চালা গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে আলামিন ও মৃত সোনাউল্লাহর ছেলে রুবেল।

সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউর (এপিপি) অ্যাডভোকেট আনোয়ার পারভেজ লিমন বাংলানিউজকে জানান, ট্রাইব্যুনালের বিচারক শহীদুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, সাত থেকে আট মাস আগে বেলকুচির একটি উচ্চ বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করতে গিয়ে রিয়াদের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই স্কুলছাত্রীর। এ পরিচয় থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে রিয়াদ ফুঁসলিয়ে মেয়েটির সঙ্গে বার বার দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। পরে মেয়েটি রিয়াদকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে রিয়াদ অস্বীকার করেন এবং ক্ষিপ্ত হয়ে সহযোগিদের নিয়ে তাকে মারপিট করেন। পরে মেয়েটি তার বাবাকে নিয়ে থানায় মামলা করতে গেলে রিয়াদ ও তার সহযোগিরা থানায় গিয়ে পুলিশের সামনে মেয়েটিকে মারপিট করেন। এছাড়া ভয়ভীতি দেখিয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সামনে সাদা কাগজে বাবা-মেয়ের স্বাক্ষর নিয়ে তাদের থানা থেকে বের করে দেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা রিয়াদ বাংলানিউজকে বলেন, ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে আমার প্রেমের কোনো সম্পর্ক নেই। আমি বেলকুচি উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে সভাপতি পদ প্রার্থী। এ কারণে প্রতিপক্ষের লোকজন ওই মেয়েকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, মেয়েটি অভিযোগ করার জন্য থানায় এসেছিল। কিন্তু তার বাবা মামলা করতে রাজি না হওয়ায় তারা চলে যান। ওই সময় থানায় কোনো মারপিটের ঘটনা ঘটেনি, এমনকি সাদা কাগজে কোনো স্বাক্ষরও নেয়া হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৭
টিএ/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।