সোমবার (৩০ অক্টোবর) গভীর রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পুলিশ তাকে আটক করে। শাওন রাজশাহীর তানোর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মুজিবুরের ছেলে।
পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ শাওনের দুই বন্ধুকেও আটক করে থানায় নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে। ঘটনার পর ধর্ষণের শিকার ওই কলেজছাত্রীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। তার বাড়িও তানোর উপজেলায়। সে রাজশাহী কলেজের ছাত্রী।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শফিকুল ইসলাম শফিক বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সোমবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে ওই কলেজছাত্রীকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে তিন যুবক। তারা হলেন- শাওন, তাসিম ও মিনহাজ। মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে জানতে পেরে তিনজকে আটক করা হয়। পরে তাদের বোয়ালিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার রাতে সাগরপাড়ার একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ওই কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে শাওন। এক পর্যায়ে মেয়েটির রক্তপাত শুরু হয়। এতে সে অচেতন হয়ে পড়ে।
পরে শাওন বিষয়টি তার দুই বন্ধু তাসিম ও মিনহাজকে জানায়। তারা গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এছাড়া আটকের পর থানায় জিজ্ঞাসাবাদে শাওন ওই ছাত্রীকে একাই ধর্ষণ করেছে বলে স্বীকার করেছে।
এই ব্যাপারে মামলা হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৭
এসএস/জিপি